চিকিৎসক-নার্স-কর্মীদের সুরক্ষা উপকরণ সরবরাহের নির্দেশ হাইকোর্টের

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীসহ সংশ্লিষ্টদের ব্যক্তিগত সতর্কতায় সুরক্ষা সরঞ্জাম পারসোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) সংগ্রহ ও সরবরাহ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ রোববার রুলসহ এ আদেশ দেন।

চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষায় কী কী সরঞ্জাম দরকার, সে তালিকা তৈরি করতে অবিলম্বে একটি কমিটি গঠন করতে স্বাস্থ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কমিটিকে তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে।

তালিকা তৈরির পর সুরক্ষা উপকরণ সাত দিনের মধ্যে সংগ্রহ করতে নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি সুরক্ষা সরঞ্জাম হাসপাতাল ও ক্লিনিকে পৌঁছে দিতে বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সুরক্ষা সরঞ্জাম সংগ্রহে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চাহিদা অনুসারে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

‘পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সরঞ্জাম না থাকায় উদ্বেগ’ শিরোনামে ২০ মার্চ প্রথম আলোয় একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদনটিসহ এ নিয়ে গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন যুক্ত করে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে তিন আইনজীবী আজ রোববার ওই রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল দেবাশিস ভট্টাচার্য্য ও প্রতিকার চাকমা।

আদেশের বিষয় জানিয়ে পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, আইইডিসিআরের পরিচালক ও সেন্ট্রাল মেডিসিন স্টোরের পরিচালককে নিয়ে পাঁচ সদস্যের ওই কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। রুলে চিকিৎসক, নার্স, রোগী ও কর্মীদের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি সংগ্রহ বা কেনায় বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। তিন সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ২০১৮ সালের সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইনের বিধান অনুসারে সার্বিক বিষয় তদারকির জন্য উপদেষ্টা কমিটিও গঠন করতে বলা হয়েছে। ২৪ মার্চ বিষয়টি তালিকায় আসবে।’