সাদুল্যাপুরকে 'লকডাউন'-এর সিদ্ধান্তে ডিসির 'না'

গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলাকে লকডাউনের (অবরুদ্ধ) সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি। তবে এ সিদ্ধান্তের অনুমোদন দেয়নি জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কমিটি। জেলা প্রশাসক বলছেন, লকডাউনের মতো কিছু হয়নি। এটি নিয়ে একটি ভুল–বোঝাবুঝি হয়েছে।

আজ রোববার দুপুরে সাদুল্যাপুর উপজেলাকে লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নেয় উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি। উপজেলা কমিটির সভাপতি ও সাদুল্যাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নবীনেওয়াজের সই করা এক চিঠিতে এ তথ্য জানা গেছে। চিঠি গাইবান্ধার জেলা প্রশাসককে দেওয়া হয়েছে। চিঠির অনুলিপি সিভিল সার্জন ও সুপার সুপারকেও দেওয়া হয়েছে।


চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ১১ মার্চ সাদুল্যাপুর উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের হবিবুল্লাহপুর গ্রামের কাজল মন্ডলের বোনের বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দুজন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী অংশ নেয়। ওই অনুষ্ঠানে ৪০০ থেকে ৫০০ মানুষ ছিল। গতকাল শনিবার গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ী) আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিয়ের ওই অনুষ্ঠানে যাওয়া অনেকেই ভোট দিয়েছেন। এ অবস্থায় ভাইরাসটি দ্রুত সংক্রমণ ঘটতে পারে। ফলে উপজেলার সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা চিন্তা করে আজ রোববার সাদুল্যাপুর উপজেলা লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয় উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি।

এ প্রসঙ্গে গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন বলেন, গাইবান্ধায় যুক্তরাষ্ট্রফেরত দুজনের মধ্যে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তবে সাদুল্যাপুর উপজেলাকে লকডাউনের মতো কিছু হয়নি। বিষয়টি নিয়ে ভুল–বোঝাবুঝি হয়েছে। এ জন্য ইউএনওকে কারণ জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়া হবে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা দুজন কাজল চন্দ্র মন্ডলের বাড়িতে ১১ ও ১২ মার্চ অবস্থান করেন। ১৩ মার্চ বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানের যোগদান শেষে গাইবান্ধা শহরে নিজ বাড়িতে চলে যান। পরে বিষয়টি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের নজরে এলে তাঁদের দুজনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। তাঁদের দুজনের রক্তের নমুনা ঢাকায় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়। আজ সকালে ঢাকা আইইডিসিআর থেকে জানানো হয় তাঁরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত।

ইউএনও জানান, উপজেলা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুমোদনের জন্য গাইবান্ধা জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কমিটির সভাপতি গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে।