শ্যালিকার বাড়ি বেড়াতে গিয়ে আইসোলেশনে যুবক

পঞ্চগড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে এক যুবককে গতকাল রোববার রাতে আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল রাত সোয়া ১২টার দিকে ওই যুবককে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন তাঁর স্বজনেরা।

২৬ বছর বয়সী ওই যুবকের জ্বর, সর্দি, কাশি, বুকে ব্যথাসহ শ্বাসকষ্ট ছিল। এসব উপসর্গ দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে সন্দেহ করে। তখন তাঁকে হাসপাতালের চতুর্থ তলায় করা ১০ শয্যাবিশিষ্ট আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।


পুলিশ জানায়, ওই বাড়ির মালিকসহ অন্য কারও মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ দেখা যায়নি। তবে ওই বাড়ির নয়জনকে ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’ রাখা হয়েছে।

স্বজন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ওই যুবক মাদারীপুর জেলার বাসিন্দা। তিনি স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় থাকেন। ১৬ মার্চ তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে নওগাঁ জেলায় শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যান। সেখান থেকে শাশুড়িকে নিয়ে ২০ মার্চ পঞ্চগড়ে শ্যালিকার বাড়িতে যান। সেখানে যাওয়ার তাঁর জ্বর, সর্দি, কাশি শুরু হয়। গতকাল রাতে বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট হলে স্বজনেরা তাঁকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।


ওই হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. সিরাজউদ্দৌলা আজ সোমবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ দেখে ওই যুবককে আইসোলেশন ইউনিটে রাখা হয়েছে। তাঁর বিদেশে যাওয়া বা কোনো বিদেশির সংস্পর্শে আসার ইতিহাস পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর শ্বাসকষ্টজনিত অ্যাজমা ছিল বলে তিনি জানিয়েছেন। রাতভর চিকিৎসার পর তিনি সকালে অনেকটা সুস্থ হয়েছেন। তিনি হাঁটাহাঁটি করছেন। সকালে তাঁকে খাবারও দেওয়া হয়েছে। তাঁর পরীক্ষার জন্য ঢাকায় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাঁরা এসে নমুন সংগ্রহ করে নিয়ে যাবেন।


পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন, পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি হওয়া ওই যুবক যে বাড়িতে উঠেছিলেন, ওই বাড়ির সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তাদের যেকোনো সমস্যায় পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে পুলিশ তাদের সেগুলো সরবরাহ করবে। পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।