করোনা মোকাবিলায় চাল ও নগদ বরাদ্দ

করোনা সংক্রমণজনিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় দুর্যোগ–সংক্রান্ত স্থায়ী আদেশাবলি (এসওডি) জারি করেছে সরকার। এর ফলে দেশের দুর্যোগ মোকাবিলা ও জরুরি পরিস্থিতির কারণে যেসব স্বেচ্ছাসেবককে নামানো হয়, তাদের সক্রিয় করা হবে। ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে স্বেচ্ছাসেবকদের পরামর্শ নিতে জেলা প্রশাসকদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দরিদ্র মানুষদের সহায়তার জন্য দেশের সব জেলায় চাল ও নগদ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিটি জেলায় ২০০ থেকে ৫০০ টন করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আর নগদ টাকা দেওয়া হয়েছে দুই থেকে পাঁচ লাখ টাকা। জেলাগুলোর আয়তন ও জনসংখ্যাকে বিবেচনা নিয়ে ওই সহায়তা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে করোনা–ঝুঁকির কারণে লকডাউন হওয়া মাদারীপুরের শিবচরে সহায়তা হিসেবে চাল পাঠানো হয়েছে। ওই সংক্রমণের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলোতে দ্রুত ত্রাণসহায়তা পাঠানো হবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব শাহ কামাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুর্যোগ–সংক্রান্ত স্থায়ী আদেশাবলি জারি করার ফলে আমরা এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের অন্যান্য সংস্থাকে সহযোগিতা করছি। জেলাগুলোতে চাল ও টাকার যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, তা প্রয়োজনে আরও বাড়ানো হবে।’

ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে দুই ধরনের স্বেচ্ছাসেবক আছেন। দেশের ১৯টি জেলায় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) আওতায় ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক আছেন। এ ছাড়া সারা দেশে ১ লাখ ৮০ হাজার স্কাউট সদস্য আছেন। যাঁরা জরুরি রাষ্ট্রীয় কাজে মাঠে নামেন। সরকারি সংস্থা ও স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় দুই ধরনের সদস্যই স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ করে থাকেন। সাধারণত ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ও বড় কোনো দুর্যোগে তাঁরা ভূমিকা পালন করে থাকেন।