ফরিদপুরের পাঁচ ইউনিয়ন যোগাযোগবিচ্ছিন্ন

করোনাভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া রোধে মাদারীপুর সীমান্তসংলগ্ন ফরিদপুরের দুটি উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার দুপুরে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার কার্যালয় এ তথ্য নিশ্চিত করে।

ইউনিয়নগুলো হলো সদরপুর উপজেলার চরমানাইর ও চরনাসিরপুর এবং ভাঙ্গা উপজেলার কালামৃধা, আজিমনগর ও চান্দ্রা ইউনিয়ন।
জেলা পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান বলেন, 'মাদারীপুর সীমান্তের এসব ইউনিয়নকে অন্যান্য এলাকা থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত এ নির্দেশনা অব্যাহত থাকবে।'
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, আজ সোমবার পর্যন্ত বিভিন্ন উপজেলায় ১ হাজার ৪৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া নির্ধারিত সময়সীমা অতিক্রম হওয়ায় ২১৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।'
প্রথম আলোর মাদারীপুর প্রতিনিধি জানান, চার দিন ধরে প্রবাসী–অধ্যুষিত মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা অবরুদ্ধ করে রেখেছে প্রশাসন। উপজেলার রাস্তাঘাট, হাট-বাজার এখন প্রায় জনশূন্য। লোকজন খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
দেশে করোনায় আক্রান্ত ২৭ জনের মধ্যে মাদারীপুরের শিবচরে রয়েছেন ৯ জন। তাই শিবচর উপজেলায় করোনার সংক্রমণ রোধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার রাত আটটা থেকে শিবচরের হাট-বাজারগুলোয় মানুষের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রশাসন।
শিবচর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ছয়টি এলাকায় প্রায় এক লাখ মানুষ বাস করে। এর মধ্যে ৭৮ হাজার মানুষ রয়েছে কড়া নজরদারিতে। ওই ছয় এলাকায় বিদেশ থেকে এসেছেন কমপক্ষে আড়াই শ প্রবাসী। তাঁদের প্রত্যেককে কোয়ারেন্টিন করে রাখা হয়েছে।