এই মুহূর্ত থেকেই ট্রেন চলাচল বন্ধ

আজ এবং এখন থেকেই সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে। তবে মালবাহী ট্রেন চলাচল করবে। কিছুক্ষণের মধ্যে রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘোষণা দেবেন।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোফাজ্জেল হোসেন প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে দুপুর ১২টার দিকে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। গত রাত থেকে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে মেইল ও লোকাল ট্রেনের চলাচল বন্ধ করা হয়। তবে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা-জয়দেবপুর পথে কিছু লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চালু ছিল। আজ দুপুরে রেলভবনে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নুরুল ইসলাম, মন্ত্রণালয়ের সচিব মোফাজ্জেল হোসেন, রেলের মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামান ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মো. মিয়াজাহানসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈঠক করে ২৬ মার্চ থেকে সব যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

ট্রেন পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তাৎক্ষণিকভাবে সব যাত্রীবাহী ট্রেন আজ থেকেই চলাচল বন্ধের নির্দেশনা এসেছে। এরপরই তা জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ওই কর্মকর্তা বলেন, একটা ট্রেন ঢাকা থেকে গন্তব্যে গিয়ে যাত্রী নামিয়ে ঢাকায় ফিরে এলে এক যাত্রা সম্পূর্ণ হয়। বৃহস্পতিবার ট্রেন বন্ধ করতে গেলে এই যাত্রা সম্পূর্ণ করা ঝামেলার হবে। এ জন্যই এখন থেকেই ট্রেন বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

রেলের মহাপরিচালক শামসুজ্জামান এসব সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, আন্তনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি তাঁরা আগেই বন্ধ রেখেছেন। এরপরও কেউ অনলাইনে বা অনেক আগে অগ্রিম টিকিট কেটে রাখলে তা আইন অনুযায়ী ফেরত দেওয়া হবে।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, গতকাল অফিস-আদালত ছুটি ঘোষণার পর রাতে কমলাপুর রেলস্টেশনসহ বেশির ভাগ স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় লেগে যায়। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দৃষ্টিগোচর হলে রাতেই মেইল ও লোকাল ট্রেন বন্ধের নির্দেশনা আসে। এরপর সোমবার রাত পৌনে ১২টার দিকে মহাপরিচালকের পক্ষে অতিরিক্ত মহাপরিচালক মিয়াজাহান রেলের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপকদের (জিএম) মেইল ও লোকাল ট্রেন বন্ধের কথা নির্দেশনা দেন। দুই জিএম তাঁদের অধীনস্থদের এই বার্তা পাঠান। কিন্তু সকালেও তুরাগ এক্সপ্রেস ও ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পথে কয়েকটি লোকাল ও মেইল ট্রেন চালু ছিল।

রেলের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধের বিষয়ে আগেই প্রস্তুতি নেওয়া ছিল। তবে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বাস বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পরই দ্রততার সঙ্গে সব ট্রেন চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।