কুষ্টিয়ায় সীমান্ত দিয়ে ফেরা সাত বাংলাদেশি হোম কোয়ারেন্টিনে

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে পাঁচ দিন আগে সাত বাংলাদেশি অবৈধভাবে দেশে ফিরেছেন। সরকারিভাবে এই সাতজনকে চিহ্নিত করে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে দৌলতপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজগর আলী প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে থাকা কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের ৪৬ কিলোমিটার সীমান্তের কিছু অংশ উন্মুক্ত। এখানে কাঁটাতারের বেড়া নেই। এই উন্মুক্ত সীমান্ত দিয়ে ভারতের কেরালা রাজ্যে বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশের অনেক শ্রমিক গিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে সীমান্তবর্তী রামকৃষ্ণপুর, প্রাগপুর ও চিলমারী ইউনিয়নের বাসিন্দা বেশি। ভারতে লকডাউনের ফলে কাজ না থাকায় অনেকে অবৈধভাবে সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরে আসছেন। প্রশাসন এই খবর পেয়ে পাঁচ দিন আগে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে প্রবেশ করা সাতজনকে খুঁজে বের করে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠিয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ভারতের কেরালা রাজ্য থেকে অনেক বাংলাদেশি দেশে ফিরছেন। এর মধ্যে অনেকে দৌলতপুর সীমান্তের ওপার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গী থানা ও নদীয়া জেলার হোগলবাড়িয়া থানার বিভিন্ন এলাকার অবস্থান করছেন। সুযোগ পেলেই তাঁরা অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন।
ভারত থেকে আসা বাংলাদেশিদের বিষয়ে সীমান্ত–সংলগ্ন দৌলতপুর রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজ মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ইউনিয়নে ভারতের কেরালা থেকে আসা তিনজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। দৌলতপুর থানা–পুলিশকে জানালে তারা এসে তাঁদের বাড়িতে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেয়। প্রশাসন তাঁদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আক্তার বলেন, সীমান্ত পাড়ি দিয়ে দেশে আসার খবর শোনার পর সীমান্তে কড়া নজরদারির জন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) স্থানীয় ক্যাম্পগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।