ঢাকা উত্তর সিটিতে জীবাণুনাশক কার্যক্রম চলছে

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে চলছে জীবাণুনাশক কার্যক্রম। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে চলছে জীবাণুনাশক কার্যক্রম। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে চলছে জীবাণুনাশক কার্যক্রম। ডিএনসিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, করোনার জীবাণু থেকে সিটি করপোরেশনের নাগরিকদের মুক্ত রাখতে তিন দিন ধরে চলছে এই কার্যক্রম। মেয়র আতিকুল ইসলামের উদ্যোগেই এ কার্যক্রম চলছে।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় ডিএনসিসির গাড়িতে করে রাস্তা, হাসপাতাল এলাকা, ফুট ওভারব্রিজসহ জনসমাবেশ ঘটে, এমন এলাকাগুলোতে ছিটিয়ে দেওয়া হয় জীবাণুনাশক। পাশাপাশি রাস্তায় চলা যানবাহনেও ছিটানো হয় এই জীবাণুনাশক।

জানতে চাইলে মেয়র আতিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘সারা বিশ্বে করোনার কারণে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে রক্ষার জন্য বেশ কিছু বিষয় নিয়ে ভাবছিলাম। দেশের বাইরেও বিষয়টি নিয়ে অনেকের সঙ্গেই আলোচনা হয়েছে।’

মেয়র আতিক বলেন, ‘শীত-পরবর্তী এই সময়ে ধুলাবালি যেন রাস্তায় কম থাকে সেই উদ্দেশ্যে সিটি করপোরেশনের গাড়িতে করে বেশ কিছু এলাকায় পানি ছিটিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। আমি পানিতে নির্দিষ্ট পরিমাণে ব্লিচিং পাউডার মিশিয়ে দিতে বলি। এতে যেমন ধুলা কমবে, সেই সঙ্গে এই জীবাণুর প্রকোপও কমবে। আমরা সবাই জানি, ক্লোরিন জীবাণু নাশে সহায়তা করে। পানিতে স্বল্প পরিমাণে এই ব্লিচিং পাউডার মিশিয়ে ব্যবহার করলে তার ক্লোরিন দুর্দান্তভাবে জীবাণুনাশে সহায়তা করবে।’

রিকশায় জীবাণুনাশক ছিটাচ্ছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এক কর্মী। ছবি: সংগৃহীত
রিকশায় জীবাণুনাশক ছিটাচ্ছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এক কর্মী। ছবি: সংগৃহীত

মেয়র আতিক বলেন, ‘আমি এরই মধ্যে প্যানেল মেয়রকে নির্দেশনা দিয়েছি, প্রতিটি ওয়ার্ড কমিশনারের মাধ্যমে মশা মারার জন্য ব্যবহৃত স্প্রে মেশিনে এই ব্লিচিংমিশ্রিত পানি যেন এলাকার জনসমাগম হয়, এমন স্থানগুলোতে ছিটিয়ে দেওয়া হয়। আমরা চেষ্টা করছি রাজধানীর প্রতিটি স্থানে প্রতি দুই বা তিন দিন পরপর এভাবে জীবাণুনাশক স্প্রে করতে।’

উত্তর সিটি সূত্র জানায়, ঢাকা উত্তরের প্রতিটি প্রধান সড়ক এবং বেশি পরিমাণে মানুষ যাতায়াত করে, এমন রাস্তা বা স্থাপনায় এই জীবাণুনাশক ছিটানো হবে। এই কার্যক্রম শুরু করা হয় করোনার চিকিৎসার জন্য ঘোষিত উত্তরার কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল এলাকা থেকে। সামনেও এই কার্যক্রম চলবে বলে জানান মেয়র আতিক।