সুরক্ষায় রেইনকোট ভরসা চিকিৎসকদের

সরকারিভাবে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামের (পিপিই) সরবরাহ না করায় নিজেদের সুরক্ষার জন্য রেইনকোট পরে দায়িত্ব পালন করছেন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত চিকিৎসকেরা। আর নার্সরা কোনো ধরনের সুরক্ষা পোশাক ছাড়াই দায়িত্ব পালন করছেন।

আজ মঙ্গলবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে এ দৃশ্য দেখা যায়। দুপুরে দেখা যায়, রেইনকোট পরে বহির্বিভাগে সেবা দিচ্ছেন চারজন চিকিৎসক। তাঁদের মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাভস ছিল। এ সময় সেখানে প্রায় ৫০ জন রোগী ছিল। তবে নার্সদের পরনে কোনো সুরক্ষা পোশাক ছিল না। অন্যদিকে অন্তর্বিভাগে দায়িত্ব পালনরত চিকিৎসকেরা মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাভস পরে সেবা দিচ্ছেন।


কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, সরকারি নির্দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য পুরোনো ভবনের মহিলা কেবিনে আইসোলেশন কক্ষ তৈরি করে ২০টি শয্যা প্রস্তুত করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত করার কোনো কিট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেনি। একই সঙ্গে এখনো হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও অন্য স্টাফদের কোনো ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) সরকারিভাবে সরবরাহ করা হয়নি। ফলে জ্বর-সর্দি-কাশির রোগী এলে চিকিৎসক ও নার্সরা আতঙ্কের মধ্যে পড়ছেন। এমন অবস্থায় সরকারের সুরক্ষা পোশাকের জন্য অপেক্ষা না করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত আটজন চিকিৎসক নিজ খরচে রেইনকোট কিনেছেন।


উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া বলেন, আসলে সরকারিভাবে সুরক্ষা উপকরণ এখনো আসেনি। তাই নিরাপত্তার জন্য তাঁরা আপাতত রেইনকোট পরে চিকিৎসা দিচ্ছেন।