করোনায় কালনার চা দোকান বন্ধ, লকডাউন শিবচরে হোটেল খোলা

লকডাউন মাদারীপুরের শিবচরে কাঁঠালবাড়ি লঞ্চঘাটে হোটেল খোলা। ছবি: আসাদুজ্জামান
লকডাউন মাদারীপুরের শিবচরে কাঁঠালবাড়ি লঞ্চঘাটে হোটেল খোলা। ছবি: আসাদুজ্জামান

নড়াইলের লোহাগড়ার কালনাঘাটে প্রায় এক শ চায়ের দোকান। সকাল থেকে রাত অবধি জমজমাট থাকে এসব দোকানপাট। কিন্তু চার দিন ধরে কালনাঘাটের প্রায় সব চায়ের দোকান বন্ধ। কেবল কালনাঘাটের চায়ের দোকান নয়, যশোরের নওয়াপাড়াসহ রাস্তার পাশের চায়ের দোকানগুলোর অধিকাংশ বন্ধ দেখা গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা পারভীন বেগম বলছিলেন, ‘দেশে করোনা নামের (করোনা ভাইরাস) কী একটা অসুখ এসেছে। যে কারণে কালনাঘাটের সব চায়ের দোকান বন্ধ। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না।’

কালনাঘাটের চা দোকানদার মোহাম্মদ ফরমান মোল্লা প্রথম আলোকে বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের খবর টেলিভিশনে রোজ দেখছি। কত মানুষ প্রতিদিন মারা যাচ্ছে। ইতালির অবস্থা তো খুবই খারাপ। করোনার ভয়ে আছি আমরা। আমরা দোকানপাট বন্ধ রেখেছি।’


করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার তিনটি এলাকা গত ২০ মার্চ থেকে লকডাউন করে রাখা হয়েছে। শিবচর উপজেলার শিবরাকান্দি, বহেরাতলা এবং চর বাঁচামারা গ্রামে একাধিক ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ভয়ে নড়াইলের কালনাঘাটের অধিকাংশ চায়ের দোকান বন্ধ। ছবি: আসাদুজ্জামান
করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ভয়ে নড়াইলের কালনাঘাটের অধিকাংশ চায়ের দোকান বন্ধ। ছবি: আসাদুজ্জামান

‘লকডাউন’ শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি লঞ্চঘাটের বেশির ভাগ হোটেল খোলা রয়েছে। রাজধানী হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের কর্মচারী কবির আহমেদ বলেন, প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, সব হোটেল বন্ধ রাখতে। আজই আমাদের হোটেল বন্ধ হয়ে যাবে।

আল্লাহর দান নামের আরেকটি হোটেলে কর্মচারী বলেন, ‘হোটেল বন্ধ রাখতে বলেছে প্রশাসন। হোটেল যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে আমরা কী খাব?’

শিবচরের কাঁঠালবাড়ীর লঞ্চঘাটে অনেক হোটেল খোলা থাকলেও মাওয়া ঘাটের সকল হোটেল বন্ধ দেখা গেছে।

মাওয়াঘাটে ঘরমুখো মানুষের স্রোত। ছবি: আসাদুজ্জামান
মাওয়াঘাটে ঘরমুখো মানুষের স্রোত। ছবি: আসাদুজ্জামান

আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে দেখা গেল, মাওয়া ঘাটে ঘরমুখো মানুষের স্রোত। তখন নৌ-পুলিশের এক কনস্টেবল ঘরমুখো মানুষের উদ্দেশ্যে বলছিলেন, ‘লঞ্চ, ফেরি বন্ধ। আপনারা সবাই ঢাকা ফিরে যান।’ তখন সাইফুল নামের এক যুবক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা বড় বিপদে আছি। ঢাকা থেকে এখানে এসে কোনো লঞ্চ পাচ্ছি না। আমরা এখন কী করব।’