মেঘনায় ডুবে যাওয়া স্পিডবোট চালকের লাশ উদ্ধার

চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী ময়ূর-৭ লঞ্চের সঙ্গে বেঁধে রাখা স্পিডবোটটি ডুবে নিখোঁজ চালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ১০টায় চাঁদপুর শহরের লঞ্চঘাট এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।

ওই চালকের নাম জাহাঙ্গীর। তাঁর বাড়ি ভোলা জেলায়। তাঁর সঙ্গে তাঁর এক ভাতিজাও ডুবে যান। তবে তাঁকে ঘটনার পরপরই উদ্ধার করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর লঞ্চঘাটে থাকা ময়ূর-৭ লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছিল। এ সময় লঞ্চের পেছনে বেঁধে থাকা একটি স্পিডবোট তলিয়ে যায়। এতে ওই বোটের চালক জাহাঙ্গীর ও তাঁর ভাতিজা আরিফ নদীতে তলিয়ে যান। তাৎক্ষণিক আরিফকে স্থানীয় ব্যক্তিরা উদ্ধার করলেও জাহাঙ্গীর নিখোঁজ থাকেন। রাতে অনেক চেষ্টা করেও জাহাঙ্গীরের সন্ধান পাওয়া যায়নি। আজ সকাল ১০টায় ঘটনাস্থলে মেঘনা নদীতে তাঁর লাশ ভেসে উঠে।

উদ্ধার হওয়া আরিফ জানান, করোনাভাইরাসের কারণে ভোলায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় তাঁরা স্পিডবোট নিয়ে তাঁদের এক আত্মীয়কে আনতে চাঁদপুর ঘাটে আসেন। ঘাটে ময়ূর-৭ লঞ্চের পেছনে স্পিডবোটটি বেঁধে রাখেন। লঞ্চ ছাড়ার বিষয়টি তাঁরা টের পাননি।

চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম দুর্ঘটনার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।