বরিশালে ২৪ ঘণ্টায় ২৩৯ জন কোয়ারেন্টিনে

নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) বিস্তার রোধে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় আজ বুধবার পর্যন্ত ২ হাজার ৪৭২ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনের আওতায় আনা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আনা হয় ২৩৯ জনকে।

এর আগে ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টিনে আনা হয়েছিল ২৩৮ জনকে। এ ছাড়া বিভাগের এসব জেলায় ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টিন শেষ করেছেন ৬৯৭ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় শেষ করেছেন ১৬৩ জন।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা লোকজনের মধ্যে বরিশাল জেলায় নতুন ১২০ জনসহ ৫৯৮ জন, পটুয়াখালী জেলায় নতুন ১৮ জনসহ ৬২৫ জন, ভোলায় নতুন ৩৭ জনসহ ৩৫৮ জন, পিরোজপুরে নতুন ৩৩ জনসহ ৩৭৫ জন, বরগুনা জেলায় নতুন ২১ জনসহ ৩২১ জন ও ঝালকাঠিতে নতুন ১০ জনসহ ১৮১ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনের আওতায় আনা হয়েছে। এ ছাড়া বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।

কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র পাওয়া লোকজনের মধ্যে বরিশাল নগরে ৫, বরিশাল জেলায় ১৩০, পটুয়াখালীতে ২৫৮, ভোলায় ৬৫, পিরোজপুরে ৮৯, বরগুনায় ৯৭ ও ঝালকাঠিতে ৫৩ জন রয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগই কাতার, মালয়েশিয়া, ইতালি, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, বাহরাইন ও সৌদিপ্রবাসী।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক বাসুদেব কুমার দাস বলেন, হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা লোকজনের অধিকাংশই প্রবাসী। এ ছাড়া বরগুনা ও বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশনে থাকা ৪ জন রোগীকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তাঁদের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হয়নি।

বাসুদেব কুমার দাস জানান, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন করে করোনাভাইরাস সন্দেহে ভর্তি আছেন আরও দুজন। তাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তবে বরিশাল বিভাগে এখন পর্যন্ত কারও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।