ঢাকা যতটা ফাঁকা...

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সরকার ছুটি ঘোষণা করেছে। সরকারিভাবে ‘লকডাউন’ ঘোষণা না হলেও মানুষ এখন মূলত ঘরবন্দী। ঢাকায় থাকা মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে খুব একটা বাইরে যাচ্ছেন না। ফলে ঢাকা এখন ফাঁকা। শ্যামলী, মিরপুর রোড, ফার্মগেট, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর মতো বিভিন্ন জনবহুল জায়গায় এখন সুনসান নীরবতা বিরাজ করছে। যে যানজটের কারণে ঢাকার খ্যাতি বিশ্বজোড়া, যানের সেই জট এখন উধাও। যেমন: শ্যামলী থেকে কারওয়ান বাজার যেতে এখন খুব বেশি হলে বিশ মিনিট সময় লাগছে।

কিন্তু যানজটহীন শহরের মানুষ তাতে খুব একটা স্বস্তিতে নেই। ঘরে থেকেও সবার ভাবনা—কখন কী হয়। একটা চাপা আতঙ্ক তো রয়েছেই চারদিকে, সঙ্গে আছে সতর্কতা। ধীরে ধীরে মানুষ আরও বেশি সতর্ক হয়ে উঠছে। ফাঁকা ঢাকার কিছু অংশ ঘুরে সে চিত্রটিই দেখা গেছে।

প্রতিদিনের যাতায়াতের এ জায়গাগুলোর স্বাভাবিক যে চিত্র, করোনাভাইরাসের কারণে তার একেবারে বিপরীত চিত্র দেখে খানিকটা খটকাই লাগতে পারে যে কারও। অথচ এটিই এখন বাস্তবতা। জনসমাগম যতটা কমবে, করোনার প্রাদুর্ভাব তত শক্তিশালীভাবে মোকাবিলা করা যাবে। এই মুহূর্তে এ বাস্তবতা মেনে না নিয়ে কোনো উপায় নেই।

১ / ১৩
ঢাকার ব্যস্ততম জায়গাগুলোর অন্যতম শ্যামলী। সিনেমা হলসহ শ্যামলী স্কয়ার বন্ধ রয়েছে বেশ কয়েক দিন থেকে। কমে গেছে গণপরিবহন। তাই শ্যামলীর ব্যস্ততাও গেছে কমে।
ঢাকার ব্যস্ততম জায়গাগুলোর অন্যতম শ্যামলী। সিনেমা হলসহ শ্যামলী স্কয়ার বন্ধ রয়েছে বেশ কয়েক দিন থেকে। কমে গেছে গণপরিবহন। তাই শ্যামলীর ব্যস্ততাও গেছে কমে।
২ / ১৩
ফুটপাতের উন্মুক্ত গামছার দোকানে ক্রেতা নেই। শ্যামলী ও আগারগাঁওয়ে বেশ কিছু হাসপাতাল এবং ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার থাকার কারণে এসওএস শিশু পল্লির সামনের ফুটপাতের এ উন্মুক্ত গামছার দোকানগুলোতে বিক্রিবাট্টা ভালো হয়। কিন্তু করোনাভাইরাস মানুষকে ঘরে আটকে ফেলায় ক্রেতাহীন হয়ে পড়েছে ফুটপাতের এ গামছার দোকানগুলো।
ফুটপাতের উন্মুক্ত গামছার দোকানে ক্রেতা নেই। শ্যামলী ও আগারগাঁওয়ে বেশ কিছু হাসপাতাল এবং ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার থাকার কারণে এসওএস শিশু পল্লির সামনের ফুটপাতের এ উন্মুক্ত গামছার দোকানগুলোতে বিক্রিবাট্টা ভালো হয়। কিন্তু করোনাভাইরাস মানুষকে ঘরে আটকে ফেলায় ক্রেতাহীন হয়ে পড়েছে ফুটপাতের এ গামছার দোকানগুলো।
৩ / ১৩
মোহাম্মদপুরের ব্যস্ততম রাস্তাগুলোর মধ্যে অন্যতম রিংরোড এখন প্রায় ফাঁকা।
মোহাম্মদপুরের ব্যস্ততম রাস্তাগুলোর মধ্যে অন্যতম রিংরোড এখন প্রায় ফাঁকা।
৪ / ১৩
ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ একটি কাঁচা বাজার মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেট। স্বাভাবিক দিনে এ বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়ে চলাচল করা হয়ে পড়ে খুবই কঠিন। করোনার প্রভাবে কৃষি মার্কেট প্রায় ফাঁকা।
ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ একটি কাঁচা বাজার মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেট। স্বাভাবিক দিনে এ বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়ে চলাচল করা হয়ে পড়ে খুবই কঠিন। করোনার প্রভাবে কৃষি মার্কেট প্রায় ফাঁকা।
৫ / ১৩
মোহাম্মদপুরের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা তাজমহল রোড স্বাভাবিক সময়ে ব্যস্ত থাকলেও এখন প্রায় ফাঁকা।
মোহাম্মদপুরের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা তাজমহল রোড স্বাভাবিক সময়ে ব্যস্ত থাকলেও এখন প্রায় ফাঁকা।
৬ / ১৩
আওরঙ্গজেব রোড, মোহাম্মদপুর। মোহাম্মদপুর রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাশের এ রাস্তাটিতে উপচে পড়া ভিড় থাকে স্কুল খোলা থাকলে। স্কুল–কলেজ বন্ধ থাকার কারণে আওরঙ্গজেব রোড এখন পুরো ফাঁকা।
আওরঙ্গজেব রোড, মোহাম্মদপুর। মোহাম্মদপুর রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাশের এ রাস্তাটিতে উপচে পড়া ভিড় থাকে স্কুল খোলা থাকলে। স্কুল–কলেজ বন্ধ থাকার কারণে আওরঙ্গজেব রোড এখন পুরো ফাঁকা।
৭ / ১৩
গণপরিবহনের সংখ্যা কমে যাওয়ায় প্রায় ফাঁকা ঢাকা শহরের ব্যস্ততম রাস্তা মিরপুর রোড।
গণপরিবহনের সংখ্যা কমে যাওয়ায় প্রায় ফাঁকা ঢাকা শহরের ব্যস্ততম রাস্তা মিরপুর রোড।
৮ / ১৩
মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে এ চিত্র সত্যি বিরল। একমাত্র ঈদের সময় ছাড়া মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের এমন দৃশ্য কল্পনা করাও কষ্টকর।
মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে এ চিত্র সত্যি বিরল। একমাত্র ঈদের সময় ছাড়া মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের এমন দৃশ্য কল্পনা করাও কষ্টকর।
৯ / ১৩
খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যস্ত রাস্তা ফার্মগেটের খামারবাড়ি মোড় এখন যানবাহনশূন্য।
খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যস্ত রাস্তা ফার্মগেটের খামারবাড়ি মোড় এখন যানবাহনশূন্য।
১০ / ১৩
ঈদের ছুটিতেও ফার্মগেট এলাকা এমন ফাঁকা থাকে কি না সন্দেহ। কিন্তু করোনার প্রভাবে এ বিরল দৃশ্যের অবতারণা হয়েছে ফার্মগেটে।
ঈদের ছুটিতেও ফার্মগেট এলাকা এমন ফাঁকা থাকে কি না সন্দেহ। কিন্তু করোনার প্রভাবে এ বিরল দৃশ্যের অবতারণা হয়েছে ফার্মগেটে।
১১ / ১৩
ফার্মগেট বাস স্ট্যান্ড। গণপরিবহন কম, তার চেয়েও কম যাত্রী।
ফার্মগেট বাস স্ট্যান্ড। গণপরিবহন কম, তার চেয়েও কম যাত্রী।
১২ / ১৩
ভিআইপি সড়ক, বিজয় সরণি।
ভিআইপি সড়ক, বিজয় সরণি।
১৩ / ১৩
মেট্রোরেলের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে এত দিন কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে দেখা যেত তীব্র যানজট। অথচ করোনার প্রভাবে এই রাস্তাও এখন যানবাহনশূন্য।
মেট্রোরেলের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে এত দিন কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে দেখা যেত তীব্র যানজট। অথচ করোনার প্রভাবে এই রাস্তাও এখন যানবাহনশূন্য।