৫৮ হাজার পিপিই গেল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে

ইপিজেডের বিশেষায়িত পোশাক কারখানা স্মার্ট জ্যাকেট লিমিটেডে চলছে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) তৈরির কাজ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কার্যাদেশের ভিত্তিতে এসব তৈরি করছে কারখানাটি। ছবি: প্রণব বল
ইপিজেডের বিশেষায়িত পোশাক কারখানা স্মার্ট জ্যাকেট লিমিটেডে চলছে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) তৈরির কাজ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কার্যাদেশের ভিত্তিতে এসব তৈরি করছে কারখানাটি। ছবি: প্রণব বল

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় আজ বৃহস্পতিবার আরও আট হাজার ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠিয়েছে চট্টগ্রামের স্মার্ট গ্রুপ। এ নিয়ে মোট ৫৮ হাজার পিপিই তারা অধিদপ্তরে সরবরাহ করল। মোট কার্যাদেশ ছিল এক লাখের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় ঔষধালয় ইপিজেডের বিশেষায়িত পোশাক কারখানা স্মার্ট জ্যাকেট লিমিটেডকে এক লাখ পিপিই তৈরির কার্যাদেশ দেয় কয়েক দিন আগে। এটি স্মার্ট গ্রুপের একটি কারখানা। গত মঙ্গলবার প্রথম দফায় তারা ৫০ হাজার পিপিই সরবরাহ দেয়।

এরপর বাকি ৫০ হাজার পিপিই তৈরির কাজ এখন চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। বাকি ৫০ হাজারের মধ্যে আট হাজার পিপিই আজ সকালে কাভার্ড ভ্যানযোগে ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে দেওয়া হবে বলে কারখানা সূত্রে জানা গেছে।

কারখানার নির্বাহী পরিচালক বিপ্লব কুমার মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, কার্যাদেশ পাওয়ার পর থেকে আমরা নিরবচ্ছিন্নভাবে পিপিই তৈরি চালিয়ে যাচ্ছি। মঙ্গলবার ৫০ হাজার পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ আবার আট হাজার পাঠানো হয়েছে। বাকিগুলো তৈরিকাজ চলছে। পর্যায়ক্রমে তা পাঠানো হবে।

জানা গেছে, চট্টগ্রামে ইপিজেডের এই কারখানায় পিপিই তৈরির কাজে নিয়োজিত রয়েছে প্রায় ১ হাজার ৩০০ শ্রমিক। তাঁরা আগেও পিপিই তৈরি করেছেন। প্রথম দফায় যে ৫০ হাজার পিপিই পাঠানো হয়, তা আমেরিকার এক বায়ারের (ক্রেতার) কার্যাদেশের। ওই ক্রেতাকে পরে পুনরায় তা সরবরাহ করার শর্তে জরুরি ভিত্তিতে দেশের জন্য পিপিই সরবরাহ করে প্রতিষ্ঠানটি।

বিপ্লব কুমার মজুমদার বলেন, তাঁদের হাতে পিপিই তৈরির পর্যাপ্ত সরঞ্জাম ও কাঁচামাল মজুত রয়েছে। এই এক লাখ পিপিই তৈরি শেষ হলে আরও পিপিই এর কার্যাদেশ আসার আভাস রয়েছে বলে তিনি জানান। দেশের স্বার্থে দ্রুত এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে প্রতিষ্ঠানটি দাবি করে।

প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকেরা যথাযথ সুরক্ষা এবং হাইজিন মেনে এই পিপিই তৈরি করে যাচ্ছেন। আজ বিকেলে আরও ৮ হাজার পিপিই ঢাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে কারখানা সূত্রে জানা গেছে।

উল্লেখ্য করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় দেশের চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের এখনো পর্যাপ্ত পিপিই সরবরাহ দিতে পারেনি সরকার। এ জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে পিপিই তৈরির কার্যাদেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।