নাটোরের সেই হাজতি ও গার্মেন্টস কর্মকর্তা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নন

নাটোর
নাটোর

নাটোর কারাগারের সেই হাজতি এবং তৈরি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তার নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি। আজ শুক্রবার সকালে নাটোরের সিভিল সার্জন কাজী মিজানুর রহমান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ওই দুজনের নমুনা রাজধানীতে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছিল।

সিভিল সার্জন জানান, কারাগার থেকে করোনাভাইরাসের লক্ষণ থাকা যে কয়েদিকে নাটোর সদর হাসপাতালের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়েছিল তাঁর নমুনা পরীক্ষা করে কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। গত ২২ মার্চ তাঁকে জামিনে মুক্তি দিয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় প্রাতিষ্ঠানিকে কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়েছিল। তিনি ৫০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তি। জ্বর সর্দি ও শ্বাস কষ্ট ছিল তাঁর। তিনি জানান, এর এক দিন আগে (২১ মার্চ) কোভিড-১৯-এর উপসর্গ দেখা দেওয়ায় এক গার্মেন্টস কর্মকর্তার নমুনা পাঠানো হয়েছিল। তাঁরও সর্দি-জ্বর,গলা ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট ছিল। তিনি বিদেশি ক্রেতার সঙ্গে সভা করার পর অসুস্থ হন বলে জানিয়েছিলেন। তিনি এখন ঢাকায় চিকিৎসাধীন।

সিভিল সার্জন আরও জানান,গত ২৪ ঘন্টায় নাটোরে আরও ১৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। এ নিয়ে জেলায় মোট কোয়ারেন্টিনে থাকেন ২৬৪ জন। তবে তাঁদের মধ্যে ২৩ জনের কোয়ারেন্টিন মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাঁরা স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন। সবাই সুস্থ আছেন।

জেলা প্রশাসক মো.শাহরিয়াজ জানান, জেলায় এখন পর্যন্ত কারও করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটরা সেনা সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। এখন সামাজিক বিচ্ছিন্নতা বজায় রাখতে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে আছেন। আজ সকাল থেকে সবাইকে ঘরে আটকে রাখতে কঠোর ভূমিকা পালন করা হচ্ছে।