ঝালকাঠিতে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি

ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন করোনাভাইরাস মোকাবিলায় নানা ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে প্রতিদিনের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি সংবাদকর্মীদের কাছে সরবরাহ করা হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে গত বুধবার পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন বিদেশফেরত ১৩০ জন। হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫৮ জন। জেলা প্রশাসন ১৮৩ জন বিদেশফেরত ব্যক্তির তথ্য সংরক্ষণ করে তাঁদের নজরদারিতে রেখেছে। জেলার চারটি হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা রয়েছে ২৫০টি। চারটি হাসপাতালে ৫১টি শয্যা কোরোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন—এমন সন্দেহভাজন রোগীদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। চিকিৎসক রয়েছেন ৬৫ জন এবং নার্স আছেন ১২৮ জন। ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) আছে ১০০টি। এর মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে ২৫টি। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বহনের জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অসহায় দরিদ্রদের জন্য ৬০ মেট্রিক টন চাল ও ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ করে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে বিতরণের জন্য ছাড় করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ঝালকাঠি জেলা পুলিশ কুইক রেসপন্স টিম গঠন করেছে। পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিনের নির্দেশনায় কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা হয়। কুইক রেসপন্স টিমের সদস্যরা ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত থাকবেন। জেলা পুলিশের একটি অ্যাম্বুলেন্স এই টিমকে সহায়তা করার জন্য সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ঝালকাঠি জেলা পুলিশ বিভিন্ন ধরনের সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডসহ বিদেশফেরতদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে ভূমিকা রেখে আসছে। এ ছাড়া দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজার তদারকের ক্ষেত্রেও জেলা পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।