'লাল চা'-এর গুজব, শিক্ষকের মুচলেকা

করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাল চা খাওয়ার গুজব ছড়ানোর ঘটনায় এক শিক্ষক থানায় হাজির হয়ে ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি করবেন না মর্মে মুচলেকা দিয়েছেন।
আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সিলেটের ওসমানীনগর থানায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে❛লাল-চা❜খাওয়া নিয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে লাল-চা খাওয়ার এই গুজব ফেসবুকে ছড়ান সিলেটের ওসমানীনগরের মোবারকপুর বঙ্গবন্ধু উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক বশির মিয়া। তিনি তাঁর ফেসবুকে চিনি ছাড়া লাল চা খেলে করোনাভাইরাস ঠেকানো যায় এমন একটি পোস্ট করেন। ফেসবুকে এটি ভাইরাল হয়ে যায়। পরে সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি এবং সিলেটের পুলিশ সুপারের নির্দেশে বশির মিয়াকে আটক করতে অভিযান চালায় ওসমানীনগর থানার পুলিশ।
পুলিশের অভিযান টের পেয়ে বশির মিয়া আত্মগোপন করেন। এ ঘটনায় গতকাল রাতে বশির মিয়ার ভাই ও আত্মীয়সহ পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। আজ আবার বশির মিয়াকে আটকে অভিযান চালায় পুলিশ। পরে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বশির মিয়া তাঁর স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবুল লেইছ মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে থানায় হাজির হন। এ সময় গুজব রটানোর জন্য ক্ষমা চেয়ে লিখিত মুচলেকা প্রদান করেন। পরে তাঁর ফেসবুক আইডিতেও ক্ষমা চেয়ে আরেকটি স্ট্যাটাস দেন। তাঁকে প্রধান শিক্ষক আবুল লেইছের জিম্মায় দেওয়া হয়।
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেদ মোবারক প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষক বশির মিয়া থানার হাজির হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা ও মুচলেকা দিয়েছেন। পরে তাঁকে তাঁর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল লেইছের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়। এর আগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা তাঁর পাঁচ স্বজনকেও ছেড়ে দেওয়া হয়।
মানাউবী সিংহ, সিলেট