চীন থেকে বাংলাদেশি তরুণের পাঠানো কিটগুলো এখন জয়পুরহাটে

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া সেই বাংলাদেশি তরুণের পাঠানো করোনাভাইরাস পরীক্ষার ১০০টি টেস্টিং কিট ও টেস্টের প্রয়োজনীয় অ্যাসিড ও ড্রপ আজ শুক্রবার জয়পুরহাট স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
কিটগুলো পাঠিয়েছেন চীনে অধ্যয়নরত জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার রতনপুর গ্রামের মিজানুর রহমান সরকার। চীনের নানথোং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কলেজে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থী তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ইউএস বাংলা এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ হুইপ ও জয়পুরহাট-২ (আক্কেলপুর-কালাই ও ক্ষেতলাল) আসনের সাংসদ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের কাছে এগুলো হস্তান্তর করেন। হুইপ আবু সাঈদ কিট ও প্রয়োজনীয় সামগ্রীগুলো জয়পুরহাটে পাঠিয়ে দেন। জয়পুরহাট পৌরসভার মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক আজ সিভিল সার্জন মো. সেলিম মিঞার হাতে এসব তুলে দেন। এ সময় জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক জোবায়ের গালীব, জেলা আধুনিক হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সরদার রাশেদ মোবারকসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মিজানুর রহমান জয়পুরহাটে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার জন্য কিট পাঠানোর ইচ্ছা ব্যক্ত করে গত মঙ্গলবার একটি পোস্ট দেন। বৃত্তির টাকা থেকে কিট কিনে দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে প্রিয় জন্মভূমির মানুষদের জন্য সহযোগিতার এমন পোস্টে সাড়া দিয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ। এরপরই মিজানুর ১০০টি কিট পাঠিয়ে দেন।
মিজানুর রহমান সরকারের মা মাহফুজা খাতুন বলেন, ‘আমার তিন সন্তান। দুই যমজ কন্যা ও এক ছেলে। সন্তানদের মধ্যে মিজানুর বড়। ২০১৭ সালের শেষের দিকে সে উচ্চশিক্ষার চীনে যায়। ছেলে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ১০০ কিট কিনে পাঠিয়েছে জেনে নিজেকে একজন গর্বিত মা মনে হচ্ছে।’
সিভিল সার্জন মো. সেলিম মিঞা বলেন, ‘চীন থেকে পাঠানো করোনাভাইরাস পরীক্ষার ১০০টি কিট প্রয়োজনীয় অ্যাসিড ড্রপ আমরা পেয়ে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। সেখান থেকে সম্মতিপত্র পাওয়ার পর এই কিটগুলো দিয়ে আমরা জেলায় করোনাভাইরাস পরীক্ষা করতে পারব।’ তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য আমাদের কাছে এই প্রথম কিটগুলো পেয়ে খুব ভালো লাগছে।’
গত বুধবার চীন থেকে কিট পাঠাচ্ছেন বাংলাদেশি তরুণ শিরোনামে সংবাদ অনলাইনে প্রকাশিত হয়। প্রথম আলো ফেসবুকে শেয়ার হলে অসংখ্য পাঠক নিউজটি লাইক, শেয়ার ও কমেন্ট করেন।