করোনাভাইরাস নির্মূলের 'থিওরি' আবিষ্কারের দাবি করে কারাগারে

প্রতীকী ছবি। এএফপি
প্রতীকী ছবি। এএফপি

দেশ থেকে করোনাভাইরাসের নিমূর্লের তত্ত্ব আবিষ্কারের দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা থেকে ওই তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার তরুণের নাম খালিদ বিন শ্রাবণ (২৫)। তিনি উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের আশিক মিয়ার ছেলে। আশিক মিয়া নোয়াগাঁও ইউনিয়ন শাখা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বলে স্থানীয় লোকজন নিশ্চিত করেছেন।
খালিদ বিন শ্রাবণের বিরুদ্ধে সরাইল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, খালিদ কোনো একজন ব্যক্তিকে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন। সাক্ষাৎকারে খালিদ দাবি করেছেন, তিনি বিজ্ঞানের ছাত্র। তাঁর গবেষণায় করোনাভাইরাস নির্মূলের 'থিওরি' ধরা পড়েছে। তাঁকে যদি ২৫ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়, তাহলে তিনি বাংলাদেশ থেকে করোনাভাইরাস দূর করে দিবেন। আর যদি ১০০ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়, তবে তিনি সারা পৃথিবী থেকে করোনাভাইরাস দূর করে দেবেন।

খালিদের এমন ভিডিও প্রচারের পর গ্রামের মানুষ তাঁর কাছে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধকের জন্য ভিড় করতে থাকেন। ভিড় এড়াতে পরিবারের লোকজনের চাপে তিনি গত বৃহস্পতিবার বিকেলে গা ঢাকা দেন। পরে গতকাল রাতে সরাইল থানা–পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেন।
খালিদের বাবা আশিক মিয়া আজ শনিবার সকালে গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন,' আমার ছেলের কোনো মোবাইল ফোন নেই। জামাল মিয়া (২৮) নামের আমার এক আত্মীয় (ভাগ্নে) শ্রাবণকে দিয়ে এমন বক্তব্য ধারণ ও প্রচার করে পালিয়ে গেছেন।'

সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, করোনাভাইরাস নির্মূলের তত্ত্ব আবিষ্কার নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে খালিদ বিন শ্রাবণের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে।