এক হাজার পিপিই পেলেন চিকিৎসকেরা

বরিশালের শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকদের জন্য ১০০০টি ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে গতকাল শুক্রবার এসব পিপিই হাসপাতালে এসে পৌঁছায়। একই সঙ্গে আপত্কালীন সময়ে এই হাসপাতালের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যাতায়াতের জন্য দুটি বাস বরাদ্দ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

করোনাভাইরাসের বিস্তারের পর দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান এই সরকারি হাসপাতালের নিয়মিত ও শিক্ষানবিশ চিকিৎসক, নার্সরা পিপিই না থাকায় আতঙ্কে ভুগছিলেন। এ জন্য তাঁরা পিপিই সরবরাহের জন্য হাসপাতালের পরিচালকের কাছে স্মারকলিপিও দিয়েছিলেন।

হাসপাতাল প্রশাসন জানায়, বরিশালে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের ব্যবস্থা না থাকায় এবং পিপিই সংকটের কারণে চিকিৎসকদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। এ জন্য সাধারণ জ্বর, সর্দি, কাশি নিয়ে রোগীরা হাসপাতালে এলে আতঙ্ক আর ব্যক্তিগত সন্দেহ থেকে এই রোগীদের হাসপাতালের কোয়ারেন্টিন ইউনিটে পাঠান তাঁরা। ১৮ মার্চ থেকে এ হাসপাতালে এ ধরনের ৭ জন রোগীকে হাসপাতালের আইসোলেশনে পাঠানো হয়। কিন্তু তাদের মধ্যেই কেউই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। আগে এ হাসপাতালে মাত্র ১৩২টি পিপিই পাঠানো হয়েছিল।

বরিশালে করোনার সবচেয়ে বড় ঝুঁকির কারণ হচ্ছে, মাদারীপুর জেলার বেশির ভাগ রোগীই এই হাসপাতালে আসেন। এ ছাড়া পায়রা বন্দর, পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দুটি, বরগুনার তালতলীতে একটি বড় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, লেবুখালীর পায়রা নদী ও পিরোজপুরে একটি সেতু এবং বাঁধ নির্মাণকাজে অন্তত তিন হাজার চীনা শ্রমিক কাজ করছেন। চলতি মার্চ মাসে অন্তত ১০ হাজারের বেশি প্রবাসী এসেছেন। এসব প্রবাসীর মধ্যে অনেককেই এখনো হোম কোয়ারেন্টিনের আওতায় আনা যায়নি।

এ বিষয়ে বরিশালের শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. বাকির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, পিপিই পাওয়ায় চিকিৎসকদের মধ্যে এখন অনেকটা স্বস্তি ফিরেছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিকিৎসকদের জন্য পরিবহন সেবা চালু করা হয়েছে। এখন হাসপাতালে স্বাভাবিক চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম বজায় থাকবে।