ভারতফেরত জামাতার পলায়ন

ভারতফেরত এক ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তিনি নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে না থেকে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় তাঁর শ্বশুরবাড়িতে আত্মগোপন করেন। এতে আশপাশের লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর দেওয়া হয় উপজেলা প্রশাসনকে। গত শুক্রবার বিকেলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু ওই ব্যক্তি পালিয়ে যান। এ ঘটনায় তাঁর শ্বশুরবাড়ির সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলার কলসপাড় ইউনিয়নের একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ওই ব্যক্তি এক মাস আগে ভারতের আজমির শরিফে যান। এক সপ্তাহ আগে ভারত থেকে তিনি গাজিরখামার নিজ বাড়িতে ফেরেন। তিনি নিজ বাড়িতে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে না থেকে তিন দিন আগে শ্বশুরবাড়িতে চলে আসেন। এ খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। এতে জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুর রহমানকে জানানো হয়। তাঁকে আটক করতে শুক্রবার বিকেলে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে অভিযান চালানো হয়।

এ সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোকছেদুর রহমান, ইউএনও আরিফুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) লুবনা শারমীন উপস্থিত ছিলেন। প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই ব্যক্তি শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে যান। পরে ইউএনও তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, ওই ব্যক্তি কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। তাই সংক্রমণ এড়াতে ওই বাড়ির লোকজনকে কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেন। আগামী ১৪ দিন কাউকে বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করেন। এ ছাড়া আবার ওই ব্যক্তি শ্বশুরবাড়িতে এলে উপজেলা প্রশাসনকে খবর দিতে বলেন।
বালুঘাটা এলাকার আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ওই ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, এটা তিনি নিজেই বলেছেন। তাই তাঁকে ভারত থেকে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে তিনি পালিয়ে শ্বশুরবাড়িতে এসে আত্মগোপন করেন। বিষয়টি জানতে পেরে এখানেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এলাকাবাসী প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করেন।
ইউএনও আরিফুর রহমান বলেন, ওই ব্যক্তি তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে গেছেন। তবে বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলে সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাই ওই বাড়ির লোকজনকে কোয়ারেন্টিনে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী ১৪ দিন কেউ বাড়ি থেকে বের হতে পারবেন না। ওই ব্যক্তিকে আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।