মামলার তদন্ত এক বছরেও শেষ হয়নি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শেষবর্ষের ছাত্র ফারুক হোসেন হত্যার এক বছর পূর্ণ হলো আজ। কিন্তু এ সময়ে হত্যাকাণ্ডের বিচার তো দূরের কথা মামলার তদন্তই শেষ হয়নি। ইতিমধ্যে তিনবার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়েছে।ফারুক হত্যা মামলার বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা ও রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন খান জানান, মামলাটি অত্যন্ত জটিল। এ মামলার ৩৫ জন এজাহারভুক্ত আসামির পরিচয় পাওয়া গেছে। খুব দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছর ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে ছাত্রশিবিরের সশস্ত্র হামলায় ফারুক হোসেন খুন হন। হামলায় পুলিশসহ ছাত্রলীগের অর্ধশত নেতা-কর্মী মারাত্মকভাবে আহত হন। এসব ঘটনায় ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে নগরের মতিহার থানায় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ১৪টি মামলা করা হয়। এর মধ্যে পাঁচ নম্বর মামলাটি হচ্ছে ফারুক হত্যাসংক্রান্ত।ফারুকের বাবা ফজলুর রহমান ও মা হাছনা বানু জানান, তাঁদের অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের একমাত্র আশার ধনকে হারিয়ে তাঁরা বহু কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। তাঁরা হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের উপযুক্ত বিচার দাবি করেন। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সভাপতি আওয়াল কবির ও সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ সময়েও ছাত্রশিবিরের এসব বর্বর ঘটনার বিচার না হওয়া দুঃখজনক। তাঁরা অবিলম্বে তদন্তকাজ শেষ করে এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মী ও ক্যাডারদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার আহ্বান জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আবদুস সোবহান বলেন, হতাহত, হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।