আকিজের হাসপাতালের কাজ চলবে

করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ৩০১ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণ করছে শিল্প গ্রুপ আকিজ। ছবি: দীপু মালাকার
করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ৩০১ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণ করছে শিল্প গ্রুপ আকিজ। ছবি: দীপু মালাকার

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও আকিজ গ্রুপের উদ্যোগে চলা হাসপাতাল নির্মাণের কাজ চলবে। রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় তাদের নির্ধারিত জায়গায়ই হবে এই হাসপাতাল। স্থানীয় কাউন্সিলর ও এলাকার মানুষের বাধার মুখে এর  নির্মাণকাজ শনিবার দুপুরে বন্ধ হয়ে যায়। পরে রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের হস্তক্ষেপে নির্মাণকাজ পুনরায় শুরুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।

আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রথম আলোকে বলেন, এখানে হাসপাতাল হলে এলাকার লোকের মধ্যে সংক্রমণ হবে— এমন একটা ভাবনা থেকে বিরোধিতা হয়েছিল। এলাকার কাউন্সিলর এসেছিলেন, আকিজের মালিক পক্ষও এসেছিলেন। হাসপাতাল হলেও সংক্রমণ না হওয়ার সব ধরনের ব্যবস্থা যে নেওয়া হবে, তা সবাইকে বুঝিয়ে বলা হয়েছে। নির্ধারিত স্থানেই হাসপাতাল হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালের জন্য অনুমতি প্রয়োজন হয়। তিনি ক্যাবিনেট সেক্রেটারি এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বলে দিয়েছেন। অনুমোদনের প্রক্রিয়া শিগগিরই শেষ হয়ে যাবে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য দেশের অন্যতম শিল্পগোষ্ঠী আকিজ গ্রুপ ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্যোগে ঢাকায় ৩০১ শয্যার হাসপাতাল তৈরির কাজ শুরু হয়। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আকিজের নিজস্ব দুই বিঘা জমিতে হাসপাতালটি হচ্ছে। এটি তৈরি হচ্ছে তেজগাঁও-গুলশান লিংক রোডের শান্তা টাওয়ারের পেছনে। আকিজ সেখানে বিনা মূল্যে রোগীদের চিকিৎসা দেবে।

নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার বিষয়টি জানাজানির পরই শনিবার বেলা একটার দিকে শ দুয়েক মানুষ এসে কিছুক্ষণ অবস্থান নেন এবং প্রতিবাদ জানান। এ ঘটনার পর হাসপাতাল নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। শিল্প এলাকার ১৮৪ নম্বর প্লটে নির্মাণাধীন হাসপাতালে লোকজন আসার পর সেখানে আসেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শফিউল্লাহ শফি।

শফিউল্লাহ শফি তেজগাঁও থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তাঁর ভাষ্য ছিল, ‘এখানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল হবে শুনে হাজারখানেক লোক এসেছিল। আমি এসে তাদের শান্ত করি।’

তবে অনেকে অভিযোগ করেন স্থানীয় লোকজনকে শফিউল্লাহ শফিই এখানে নিয়ে এসেছিলেন। এই অভিযোগের বিষয়ে তাঁর ভাষ্য ছিল, ‘এই লোকজন আমার না, তারা স্থানীয় মানুষ।’

হাসপাতাল করার বিষয়ে শফিউল্লাহর অভিমত ছিল, ‘আমি মনে করি, এটা যেহেতু মহল্লা হচ্ছে, তাই এখানে করোনারভাইরাসে আক্রান্তদের হাসপাতাল হওয়া ঠিক হবে না। আমি এটার পক্ষে না।’