পীরগঞ্জে এসি ল্যান্ডের বিরুদ্ধে ইউপি সদস্যকে পেটানোর অভিযোগ

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনারের (ভূমি) বিরুদ্ধে এক ইউপি সদস্যকে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. গাজিউর রহমান গতকাল শনিবার বিকেলে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে বলা হয়, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী একজন ইউপি সদস্য হিসেবে তিনি জনসমাগম রোধে পীরগঞ্জের কালুপীর হাটে জনসমাগম বন্ধে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তা চান। কয়েকজন পুলিশ সদস্য নিয়ে পীরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল আলম গত শুক্রবার বিকেল পাঁচটার দিকে সেখানে যান এবং হাটের জনসমাগম ভেঙে দেন। এরই মধ্যে পীরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তরিকুল ইসলাম পুলিশের ফোর্সসহ ওই হাটে পৌঁছান।

গাজিউর রহমান বলেন, একজন ইউপি সদস্য হিসেবে সহকারী কমিশনারকে তিনি সালাম জানান। কিন্তু কমিশনার সালাম গ্রহণ না করে হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে তাঁকে পেটাতে শুরু করেন। পরিচয় জানানোর পরও তিনি তাঁকে মারতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি তাঁর সঙ্গে আসা পুলিশ সদস্যের কাছ থেকে লাঠি নিয়ে তাঁকে পেটাতে থাকেন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ইউপি সদস্যকে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। শনিবার তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান।

জানতে চাইলে গাজিউর রহমান বলেন, ‘একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করার সময় আমাকে লাঠিপেটা করা হয়। পরিচয় দিয়েও এসি ল্যান্ডের হাত থেকে রক্ষা পাইনি। সরকারের কাছে এর বিচার চাই।’

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তরিকুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, ‘ওই বাজারে গিয়ে দেখতে পাই, অনেক মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। আমি তাদের চলে যেতে বলি। নির্দেশ অমান্য করে এক ব্যক্তি রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে খাচ্ছিলেন, তাঁর মুখে মাস্কও ছিল না। নিয়ম না মানায় পুলিশ সদস্যরা তাঁর সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করেন।’ তিনি দাবি করেন, ওই ব্যক্তিকে মারধর করা হয়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, বিষয়টি তিনি জেলা প্রশাসককে জানিয়েছেন। ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক কে এম কামরুজ্জামান মুঠোফোনে বলেন, একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে পীরগঞ্জে পাঠিয়ে তিনি প্রকৃত ঘটনা জেনেছেন। যদি কেউ বেআইনিভাবে শক্তি প্রয়োগ করে থাকেন, তাহলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।