সেই জাবি ছাত্র হোম কোয়ারেন্টিনে

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ছাত্রকে ১০ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। ওই ছাত্র রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধীন বক্ষব্যাধি হাসপাতালের করোনাভাইরাস আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

আজ রোববার সকালে ওই ছাত্রকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেন হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা (এমও) মামুন কবীর।

গতকাল শনিবার রাতে বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ওই ছাত্রকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছিল।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে ওই ছাত্রকে রাজশাহী বক্ষব্যাধি হাসপাতালের করোনাভাইরাস আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। তাঁকে হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা (এমও) মামুন কবীর পরীক্ষা করেন। রোগীর সঙ্গে কথা বলে ও উপসর্গ পর্যালোচনা করে তাঁকে ১০ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়। তবে তাঁর শরীরে করোনাভাইরাস আছে কি না, তা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক সাইফুল ফেরদৌস জানান, ওই ছাত্রকে আইসোলেশন ইউনিটের চিকিৎসক মামুন কবীর চিকিৎসা দিয়েছেন। তিনি তাঁকে জানিয়েছেন, উপসর্গ পর্যালোচনায় নমুনা সংগ্রহ করার প্রয়োজন নেই বলে তিনি বুঝতে পেরেছেন। ওই ছাত্রকে প্রথমে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। পরে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক তাঁকে ১০ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দিয়ে ছাড়পত্র দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে চিকিৎসক মামুন কবীর প্রথম আলোকে বলেন, ওই ছাত্রের অ্যাজমা সমস্যা রয়েছে। তবে তা করোনাভাইরাসের উপসর্গ বলে মনে হয়নি। রাজশাহীতে যেহেতু নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা এখনো চালু হয়নি, তাই তাঁকে ১০ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।

আজ দুপুর পৌনে ১২টায় মুঠোফোনে কথা হয় ওই ছাত্রের সঙ্গে। তিনি তখন বাবার সঙ্গে রাজশাহী থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। তিনি বলেন, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি নিশ্চিত হয়েই চিকিৎসক তাঁকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। নমুনা পরীক্ষা না করে কেন বাড়িতে যাচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা ডাক্তার ভালো বোঝেন। তিনি প্রাথমিক পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েছেন, আমি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নই।’

ওই ছাত্র আরও বলেন, ‘আমাকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহ করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা সঠিক নয়। আমার অসুস্থতার বিষয়টি আমি বাড়িতে থাকার সময় স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম। তবুও তারা আমার ব্যাপারে মিথ্যা তথ্য তুলে ধরেছে বলে আমি মনে করি।’