সাতক্ষীরায় বাঁধ নদীগর্ভে, মেরামতের কাজ চলছে স্বেচ্ছাশ্রমে

পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোলা এলাকার ভাঙন কবলিত বাঁধ স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামতের কাজ চলছে। কোলা এলাকা, আশাশুনি, সাতক্ষীরা, ২৯ মার্চ। ছবি: কল্যাণ ব্যানার্জি
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোলা এলাকার ভাঙন কবলিত বাঁধ স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামতের কাজ চলছে। কোলা এলাকা, আশাশুনি, সাতক্ষীরা, ২৯ মার্চ। ছবি: কল্যাণ ব্যানার্জি

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খোলপেটুয়া নদীর কোলা নামের স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেড় শ মিটার বাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার সকাল থেকে স্থানীয় প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের নেতৃত্বে দুই শ মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাঁধ মেরামতের কাজ করছে।

ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধে অনেক দিন ধরে ভাঙন চলছিল। শনিবার দুপুর থেকে ভাঙন প্রবল আকার ধারণ করে। বিকেল চারটার দিকে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে স্থানীয়রা সিনথেটিকস ব্যাগ দিয়ে বাঁধের ধস রক্ষা করার চেষ্টা করে। রাত সাড়ে আটটার দিকে বাঁধটি ভেঙে যায়। রোববার সকাল সাতটা থেকে স্থানীয় ২০০ জন মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশ, কঞ্চি, বালু ভর্তি ব্যাগ ফেলে বাঁধ মেরামতের কাজ করছে। বাঁধটি মেরামত করে রক্ষা করা না গেলে ৫০টি চিংড়ি ঘের ভেসে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বাঁধ ভেঙে যাওয়ার কথা স্বীকার করে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী নাহিদুল ইসলাম বলেন, বাঁধ ধসে যাচ্ছে—এমন খবর শুনে শনিবার বিকেল চারটার দিকে এক হাজার সিনথেটিক ব্যাগ ও ১০০ জিও ব্যাগ দিয়ে স্থানীয় লোকজন স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে বাঁধ রক্ষা করার চেষ্টা করলেও তা ভেঙে যায়। রোববার সকাল থেকে তিনি ঘটনাস্থলে রয়েছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে দুই হাজার সিনথেটিক ব্যাগ দেওয়া হয়েছে।

উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলিফ রেজা বলেন, বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পরপরই তিনি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসককে জানিয়েছিলেন। রোববার সকাল নয়টার দিকে তিনিসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী নাহিদুর ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান খান, আশাশুনি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অসিম বরণ চক্রবর্তীসহ অন্যরা বাঁধের ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। লোকালয়ে পানি ঢোকা ঠেকাতে রিং বাঁধ দেওয়ার কাজ চলছে।