কুমিল্লা ইপিজেডের আরও দুটি কারখানা বন্ধ

কুমিল্লা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) আরও দুটি কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় শ্রমিকেরা কারখানা বন্ধ করার দাবিতে গতকাল শনিবার বিকেলে বিক্ষোভ করেন। শ্রমিকদের বিক্ষোভের মুখে গতকাল রাতে কারখানা দুটি বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

গতকাল কুমিল্লা ইপিজেডের জিং স্যাংগ নামের জুতা তৈরির কারখানা ও নাসা গ্রুপের একটি পোশাক কারখানা বন্ধ করা হয়। এ নিয়ে এ ইপিজেডের ৩৬টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমানে এখানে ১১টি কারখানা চালু আছে।

ইপিজেড সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা ইপিজেডে দেশি ও বিদেশি ৪৭টি কারখানা আছে। এর মধ্যে করোনাভাইরাসের কারণে বেশির ভাগ কারখানা বন্ধ রয়েছে। গতকাল বিকেল পাঁচটায় ছুটি হওয়ার পর জিং স্যাংগ ও নাসা গ্রুপের পোশাক কারখানার শত শত শ্রমিক কারখানা বন্ধ রাখার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেপজা) কার্যালয়ের দিকে যান। এ সময় শ্রমিকেরা কারখানা বন্ধ রাখার জন্য স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে শ্রমিকেরা বেপজা কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে সেটি ঘেরাও করে রাখেন। পরে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা তাঁদের সামলানোর চেষ্টা করেন। রাতে জিং স্যাংগ ও নাসা গ্রুপের পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর শ্রমিকেরা রাত আটটার দিকে বাড়ি ফিরে যান।

দুটি কারখানার অন্তত তিনজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমাদের পণ্য তৈরি করার জন্য অর্ডার আছে। তাই কাজ হচ্ছিল। সরকারি নির্দেশনায় সব কারখানা করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ করার কথা বলা হয়নি। শ্রমিকেরা কারখানা বন্ধের জন্য আন্দোলন করেন। এ কারণে বেপজা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে কারখানা দুটি বন্ধ করা হয়।’

এ বিষয়ে আনু মিয়া ও তফাজ্জল হোসেন নামের দুই শ্রমিক বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে সব কারখানা বন্ধ। আমরা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছি। কারখানায় আসা ও যাওয়ার জন্য গাড়ি পাচ্ছি না। অনেক সময় গাড়ি পেলেও ভাড়া বেশি দিতে হয়। মেসে খাবারের জন্য বেশি টাকা খরচ হচ্ছে। তাই কারখানা বন্ধ রাখার জন্য বলেছি। পরে কর্তৃপক্ষ কারখানা বন্ধ করে আমাদের ছুটি দিতে বাধ্য হয়।’

কুমিল্লায় বেপজার মহাব্যবস্থাপক মো. জিল্লুর রহমান বলেন, শ্রমিকেরা এই সময়ে কারখানায় আসা–যাওয়ার জন্য যানবাহন পাচ্ছেন না। তাঁরা ছুটি চাচ্ছিলেন। ওই কারণে মালিকদের সঙ্গে কথা বলে দুটি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়।