ছুটিতে বেড়েছে ইন্টারনেটের ব্যবহার, কমেছে রিচার্জ

ছবি: রয়টার্স
ছবি: রয়টার্স

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটিতে ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়েছে। মানুষ ঘরে বসে ইন্টারনেট ব্যবহার করে সিনেমা দেখা, ভিডিও দেখা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করছে বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের।

একটি ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ চাহিদা বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ। আইআইজি প্রতিষ্ঠান ফাইবার অ্যাট হোমের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা সুমন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‌‘আমরা দেখছি, এই ছুটিতে ব্যান্ডউইডথ চাহিদা ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা সাধারণত ছুটির সময়ে কমে যায়। এবার ভিন্ন চিত্র।’

সরকার গত বৃহস্পতিবার থেকে আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। এতে বিপুলসংখ্যক মানুষ ঢাকা ছেড়েছে। আবার মানুষ ঘরে থাকতেও বাধ্য হচ্ছে।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ফেব্রুয়ারি মাসের হিসাব বলছে, দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বেড়েছে ৭ লাখ ৩৮ হাজার। মোট ব্যবহারকারী দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ৯৯ লাখ ৮৪ হাজার। এর মধ্যে ৯ কোটি ৪২ লাখ ৩৬ হাজার মুঠোফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। বাকিরা ব্রডব্যান্ড ও অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহার করেন।

ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, এখন অফিস-আদালতে ইন্টারনেটের ব্যবহার সীমিত। তবে বাসায় চাপ বেড়েছে।

ইন্টারনেটের ব্যবহার পরিস্থিতি জানতে চাইলে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল অপারেটর প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে প্রথম আলোকে বলেছে, ভয়েস ও ডেটা ব্যবহারে তারা মিশ্র প্রবণতা দেখছে। এ বিষয়ে সার্বিকভাবে নিশ্চিত মন্তব্য করার জন্য আরও সময় প্রয়োজন।

তৃতীয় বড় অপারেটর বাংলালিংকের সিনিয়র ম্যানেজার (করপোরেট কমিউনিকেশনস) আংকিত সুরেকা প্রথম আলোকে বলেন, ডেটার ব্যবহার কিছুটা বেড়েছে। তবে তা খুব উল্লেখযোগ্য নয়। এখন মুঠোফোনে টাকা রিচার্জ অনেকটাই কমে গেছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের গ্রাহকদের চাহিদা এবং বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলালিংক কিছু প্যাকেজের দাম প্রায় ৪০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে। এ ছাড়া তারা দ্বিগুণ ডেটা বোনাস অফারের সময়ও বাড়িয়েছে।’

বাংলালিংকের প্রি–পেইড গ্রাহকদের জন্য সাত দিন মেয়াদি সব অননেটে এসএমএস ফ্রি অফার চালু করা হয়েছে বলেও জানান আংকিত সুরেকা।