মানিকগঞ্জে জ্বর-কাশিতে মৃত নারী করোনায় আক্রান্ত ছিলেন না

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলায় জ্বর–কাশি নিয়ে মারা যাওয়া নারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন না। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) তাঁর নমুনা পরীক্ষা করে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

আজ মঙ্গলবার জেলার সিভিল সার্জন আনোয়ারুল আমিন আখন্দ প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, ওই নারীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চার দিন ধরে হরিরামপুরের ২৬ বছর বয়সী নারী জ্বর ও কাশিতে ভুগছিলেন। গত শনিবার থেকে তাঁর পাতলা পায়খানা শুরু হয়। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে গত রোববার সকালে ঘিওর উপজেলাধীন মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই নারীকে আনা হয়। ওই সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।


ওই নারীর স্বামী বলেন, তাঁর স্ত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে স্থানীয় এক পল্লি চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। পরে ওষুধ নিয়ে বাড়িতে ফেরেন। পরের দিন অবস্থা আরও খারাপ হলে হাসপাতালে নিয়ে যান।


মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, মৃত অবস্থাতেই ওই নারীকে হাসপাতালে আনা হয়। তাঁর জ্বরের পাশাপাশি কাশি ও শ্বাসকষ্ট ছিল। এ ছাড়া তাঁর পাতলা পায়খানা হয়। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণগুলো থাকায় তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন আনোয়ারুল আমিন আখন্দ বলেন, ওই নারী কোভিড-১৯ রোগী ছিলেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য গত রোববার বিকেলে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপর পরীক্ষার জন্য নমুনা আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। নমুনার পরীক্ষার পর গতকাল সোমবার রাতে আইইডিসিআর জানায়, পরীক্ষার ফলাফল নেতিবাচক (নেগেটিভ) এসেছে। ওই নারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাননি।

ওই নারীর মৃত্যুর পর গত রোববার দুপুর থেকে পুরো গ্রাম লকডাউন ঘোষণা করে উপজেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে ওই নারীর পরিবারের সদস্যদের কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে আজ মঙ্গলবার সকালে লকডাউন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ওই নারী কোভিড–১৯ রোগী ছিলেন না। তাই লকডাউন তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে ওই পরিবারের দুই শিশুর সর্দি ও কাশি আছে। ওই পরিবারের সদস্যরা আপাতত হোম কোয়ারেন্টিনেই থাকবেন।