করোনা দিনমজুরকে বানাল পকেটমার

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কিছুদিন আগেও দিনমজুরি করে টেনেটুনে সংসার চালাতেন তিনি। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারি নানা ধরনের উদ্যোগ নেওয়ায় বেকার হয়ে পড়েছেন তিনি। আয়–রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবারের সদস্যদের মুখে খাবার তুলে দিতে পারছিলেন না। অবশেষে ক্ষুধার জ্বালা সহ্য করতে না পেরে পকেট মারতে গিয়ে ধরা পড়েন। স্থানীয় লোকজন তাঁকে গণপিটুনি দেয়।

আজ মঙ্গলবার সকালে নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর শহরের চাঁচকৈড় মাছবাজারে এ ঘটনা ঘটেছে। গণপিটুনির শিকার ওই যুবকের (৩০) বাড়ি নাটোরের লালপুর উপজেলায়।

প্রত্যক্ষদর্শী মো. জয়েন উদ্দিন জানান, গতকাল সকালে ওই যুবক চাঁচকৈড় মাছবাজারে এসে চার থেকে পাঁচজন ক্রেতার পকেটে হাত দিয়েছিলেন। সর্বশেষ আলাল খলিফা নামের একজন ব্যবসায়ীর পকেটে হাত দিয়ে টাকা নেওয়ার চেষ্টা করার সময় ধরা পড়েন তিনি। এ সময় বাজারের উপস্থিত ক্রেতারা তাঁকে পিটুনি দেন। পরে যুবকটি তাঁর সমস্যার কথা জানালে এলাকাবাসী মানবিক কারণে তাঁকে ছেড়ে দেন।

ওই যুবকের বরাত দিয়ে স্থানীয় কয়েকজন বলেন, তাঁর বাড়ি লালপুর সদরে। বাড়িতে স্ত্রী, দুই সন্তান ও বৃদ্ধ মা রয়েছেন। করোনাভাইরাসের প্রভাবে সৃষ্ট চলমান পরিস্থিতির কারণে উপার্জন না থাকায় পরিবারের মুখে খাবার তুলে দিতে পারছিলেন না তিনি। পরিবারের সদস্যদের জন্য নিত্যপণ্য কেনার জন্য চাঁচকৈড় মাছবাজারে এসে পকেট মারার চেষ্টা চালান তিনি। তবে তিনি পেশাদার পকেটমার নন। মারধরের একপর্যায়ে পরিস্থিতির শিকার ওই যুবকের কথা শুনে উপস্থিত সবাই দুঃখ প্রকাশ করে তাঁকে ছেড়ে দেন। পরে কয়েকজন মিলে তাঁর হাতে ৩০০ টাকা তুলে দেন। ওই টাকা নিয়েই বাড়ি ফিরে গেছেন তিনি।