ছুটি বাড়ছে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত

সরকার
সরকার

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি অফিসে ছুটির মেয়াদ আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ছে। তবে যেসব অফিস খুবই প্রয়োজন, সেগুলো চালু থাকবে।

আজ মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ছুটির মেয়াদ ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়াতে হবে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এই কনফারেন্সে যোগ দেন।

৯ এপ্রিল পর্যন্ত বলা হলেও কার্যত ছুটির মেয়াদ ১১ এপ্রিল পর্যন্ত হচ্ছে। কারণ ৯ এপ্রিল পবিত্র শবে বরাত। এর পরের দুদিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেছেন, আজ-কালের মধ্যেই ছুটির বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।

এর আগে ২৩ মার্চ সরকার ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে। এর মধ্যে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস এবং পরের দুই দিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি ছিল। ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল ৫ দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। আর ৩ ও ৪ এপ্রিল সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় মোট ১০ দিন হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা গতকাল সোমবার প্রথম আলোকে জানিয়ে ছিলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় এই ছুটির মেয়াদ বাড়তে পারে।

এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী ছুটি বাড়ানোর কথা বললেন। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের একপর্যায়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ছুটি ও পয়লা বৈশাখের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা চান। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯ তারিখ (এপ্রিল) পর্যন্ত ছুটি বাড়াতে হবে। তবে এটা সীমিত আকারে থাকবে। কিছু কিছু মানুষের জন্য চলাচলের সুযোগ করে দিতে হবে। একেবারে সব বন্ধ না। মানুষকে একেবারে আটকানো না। তবে যানবাহন চলাচল সীমিত রাখতে হবে। অন্তত ১৪ দিন পার হয়ে যাক।

এ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস বলেন, ৪ এপ্রিল পর্যন্ত তো ছুটি আছে, এখনো পাঁচ দিন সময় আছে, ক্যালেন্ডার দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যদি খুলতে চাই, যেকোনো সময় খুলে দিতে পারব। এখন থেকে যদি না বলি, মানুষ প্রস্তুতি নিতে পারবে না। স্রোতের মতো মানুষ চলে আসবে। তারপর আবার কী পরিস্থিতি হয় বলতে পারি না। তারপরও সব আটকাব না। কিছু কিছু জায়গা খুলে দেব। যেগুলো খুব জরুরি প্রয়োজন, সেগুলো চালু থাকবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিল্পকারখানা যেগুলো খুব প্রয়োজন, সেগুলো চালু রাখতে পারে। তবে যোগাযোগটা একটু আটকে রাখতে হবে। পরিবহনশ্রমিক, দিনমজুরদের ঘরে ঘরে খাদ্য পৌঁছে দিতে হবে। এ জন্য জেলা প্রশাসকদের কাছে আরেকটি বরাদ্দ পৌঁছে দেওয়া হবে।