৯৯৯-এ কল: উদ্ধার হলেন অবরুদ্ধ নারী

প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা চালিয়ে আহত ও অবরুদ্ধ করে রাখার পরে বরিশালের উজিরপুর উপজেলার ওটরা ইউনিয়নের কেশবকাঠি গ্রামের এক নারী জাতীয় জরুরি সেবার নম্বর ৯৯৯–এ কল দিয়ে পুলিশি সহায়তা পেয়েছেন। হামলার ঘটনায় আজ মঙ্গলবার উজিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, জমি নিয়ে ওই গ্রামের রুস্তম আলী হাওলাদারের সঙ্গে একই গ্রামের ভাসাই হাওলাদারের বিরোধ চলে আসছিল। গত সোমবার রুস্তম আলী হাওলাদারের স্ত্রী রহিমুন বেগম নলকূপে পানি আনতে গেলে ভাসাই হাওলাদার বাধা দেন। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে রহিমুন বেগমকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এ সময় রহিমুনকে রক্ষায় মেয়ে ইয়াসমিন আক্তার, মায়া বেগম, খাদিজা, ও ছেলে রাসেল হাওলাদার এগিয়ে এলে ভাসাই হাওলাদারের ছেলে সজল (২২) জামাল (২৭) গিয়াস (৩০) সাইদুল (২২) লাঠি দিয়ে পেটালে রহিমুন বেগম ও তাঁর মেয়েরা গুরুতর আহত হন। স্বজনেরা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিতে গেলে হামলাকারীরা তাঁদের হাসপাতালে যেতেও বাধা দেন এবং ঘরের মধ্যে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ সময় মেয়ে ইয়াসমিন আক্তার ৯৯৯–এ ফোন দিলে উজিরপুর মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে ভাসাই হাওলাদারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল আহসান বলেন, ৯৯৯–এ খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় রুস্তম আলী হাওলাদার বাদী হয়ে মঙ্গলবার থানায় একটি মামলা করেছেন।