করোনাভাইরাসে নতুন শনাক্ত ২, সংখ্যা ৫০ ছাড়াল

আইইডিসিআর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা। ফাইল ছবি
আইইডিসিআর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা। ফাইল ছবি

নতুন করে বাংলাদেশে আরও দুজন করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে বাংলাদেশে শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫১তে। আজ মঙ্গলবার রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, দুজনই পুরুষ। তাঁদের একজন সৌদিফেরত। তাঁর বয়স ৫৭। দ্বিতীয়জনের বয়স ৫৫ বছর। তবে তাঁর বিদেশ ভ্রমণের কোনো ইতিহাস নেই। তাঁর ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়জন সুস্থ হয়েছেন। তাঁদের একজনের বয়স ৭০ বছর, চারজন ৩০–৪০, একজন ৪০–৫০ বছরের মধ্যে। সুস্থ হয়ে যাওয়া লোকজনের মধ্যে চারজন পুরুষ, দুইজন নারী। তাঁদের একজন নার্স।

মীরজাদী সেব্রিনা আরও বলেন, গত কয়েক দিনে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছিল। সৎকারের আগেই যাঁদের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, তাঁদের কারোরই কোভিড–১৯ ছিল না। তিনি মৃত্যু হলেই কোভিড–১৯ ভেবে দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। কোনো আক্রান্ত ব্যক্তির রোগই যেন অশনাক্ত থেকে না যায়, সেদিকে তাঁদের নজর আছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আইইডিসিআর ১৬০২ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছে। পরীক্ষা হয়েছে ১৪০ জনের।

পিপিইর পর্যাপ্ত মজুদ আছে, ২৮ জায়গায় পরীক্ষা হবে
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৩৪ হাজার ২৭০টি পিপিই সরবরাহ করা হয়েছে। এখন পর্যাপ্ত মজুদ আছে। দেশি–বিদেশি সংস্থার কাছ থেকে নিয়মিত পিপিই দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসকেরা যেন নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। আরও বলা হয়, যাঁরা ব্যক্তিগত রোগী দেখতেন না, তাঁরা আর দেখছেন না। সাধারণ রোগীরা চিকিৎসা পাচ্ছেন না। সুরক্ষা নিয়ে চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু রাখবেন।

আইইডিসিআর আজ আরও বলেছে, কোয়ারেন্টিন শেষ হলেই একজন মানুষ সাধারণ নাগরিকের মতো জীবন যাপন করতে পারেন। তাঁরা অতিরিক্ত কোনো ঝুঁকি সৃষ্টি করেন না। তাঁদের সঙ্গে কেউ যেন শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ না করেন। কারও জ্বর, কাশি, গলাব্যথা, শ্বাসকষ্ট হলে স্বাস্থ্য বাতায়নে ১৬২৬৩ ও ৩৩৩ এতে যোগাযোগ করে চিকিৎসা পরামর্শ নেওয়ারও অনুরোধ জানানো হয়েছে।

কোভিড–১৯ বিষয়ে এখন পর্যন্ত, ৯ লাখ ২৮ হাজার ৯০৬টি ফোন পেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।