সুন্দরবনে বন্দুকযুদ্ধে দস্যু বাহিনীর প্রধান নিহত: র্যাব

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সুন্দরবনে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব-৬) সঙ্গে বনদস্যুদের গোলাগুলিতে ফারুক মোড়ল (৩৬) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল পৌনে আটটার দিকে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের কোদাল্লার খাল এলাকায় গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় জেলেরা ওই ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। তিনি খুলনার দাকোপ উপজেলার কালাবগি গ্রামের প্রয়াত আকবর মোড়লের ছেলে। র‍্যাবের ভাষ্য, ওই ব্যক্তি বনদস্যু ফারুক বাহিনীর প্রধান। তিনি সম্প্রতি ৭-৮ জনকে নিয়ে নিজের নামে বাহিনী গঠন করে সুন্দরবনের চাঁদপাই এলাকায় জেলেদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে আসছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

র‍্যাব-৬–এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রওশনুল ফিরোজ বলেন, সুন্দরবনের নদীতে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেদের কাছ থেকে একদল বনদস্যু চাঁদা দাবি করছে, এমন খবরে র‍্যাবের একটি দল ঘটনাস্থলে অভিযানে যায়। এ সময় বনদস্যুরা র‍্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে। এ সময় আত্মরক্ষায় র‍্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। সকাল পৌনে আটটা থেকে থেমে থেমে প্রায় ৪৩ মিনিট ধরে গুলিবিনিময় চলে। পরে একপর্যায়ে গোলাগুলি থামলে ঘটনাস্থল থেকে এক ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশি বন্দুক, রামদা, ১১টি তাজা গুলি, ১৪টি গুলির খোসা, একটি নৌকা ও বিভিন্ন রসদ সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। গোলাগুলিতে র‍্যাবের দুই সদস্য আহত হয়েছেন।

র‌্যাব-৬-এর অধিনায়ক জানান, প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করেছিলেন। তখন থেকে বেশ কিছুদিন এই বন দস্যুমুক্ত ছিল। কিন্তু নিহত ফারুক সম্প্রতি দল সংগঠিত করে দস্যু তৎপরতা শুরু করেছিলেন—স্থানীয় জেলেদের অভিযোগের পাশাপাশি র‌্যাবের কাছে এ বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য ছিল। এরপরই র‌্যাব ফারুক বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

এ ঘটনায় বাগেরহাটের মোংলা থানায় র‍্যাবের পক্ষ থেকে একটি মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান ওই র‍্যাব কর্মকর্তা।