বন্ধুকে ডেকে নিয়ে হত্যার পর অটো ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার

বগুড়ায় বন্ধুকে ডেকে নিয়ে হত্যার পর অটোরিকশা ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেছেন গ্রেপ্তার দুই আসামি। মঙ্গলবার বিকেলে বগুড়ার জ্যেষ্ঠ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তাঁরা। ওই দুই আসামি হলেন হান্নান (৩২) ও রাশেদ (৪০)।

জবানবন্দি ও আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নেশাজাতীয় ট্যাবলেট সেবনের ‘টোপ’ দিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক আজগর আলী ওরফে পিয়ালকে শহরতলির নির্জন গোরস্তানে ডেকে নেন অপর দুই বন্ধু হান্নান ও এরশাদ। এরপর নেশা সেবন করার সময় পেছন থেকে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে আজগরকে হত্যা করা হয়। তাঁর লাশ ফেলে অটোরিকশা ও মুঠোফোন নিয়ে চলে যান ওই বন্ধু। পরে ১২ হাজার টাকায় তাঁরা অটোরিকশাটি বিক্রি করেন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামের নুরুন্নবী মুন্না নামের এক ব্যক্তির কাছে। গত সোমবার বগুড়া সদর থানা-পুলিশ হান্নান ও রাশেদ ছাড়াও অটোরিকশার ক্রেতা নুরুন্নবী মুন্নাকে (২৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেই সঙ্গে তাঁর কাছ থেকে জব্দ করা হয় অটোরিকশাটি।

বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, ২১ মার্চ আজগর আলী বগুড়া শহরের নিশিন্দারা মধ্যপাড়া থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে নিখোঁজ হন। এরপর ২৮ মার্চ সন্ধ্যায় ছোট কুমিরা গ্রামের একটি কবরস্থান থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওই দিনই আজগর আলীর বাবা মহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।