শরীয়তপুরে আইসোলেশনে থাকা এক ব্যক্তির মৃত্যু

শরীয়তপুরে আইসোলেশনে ভর্তি হওয়ার তিন ঘণ্টা পর এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ওই যুবক একটি বালু উত্তোলনের খননযন্ত্রের শ্রমিক। তাঁর বাড়ি নড়িয়া উপজেলার একটি গ্রামে।

৩৫ বছর বয়সী ওই যুবককে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাঁর জ্বর, কাশি ও গলাব্যথা থাকায় তাঁকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। রাত সোয়া ৯টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল সূত্র জানায়, নড়িয়া উপজেলার ওই ব্যক্তি ১৯ মার্চ কাশি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরীক্ষায় তাঁর যক্ষ্মা রোগ ধরা পড়ে। তাঁকে ওই রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়। ২৩ মার্চ তিনি সদর হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে চলে যান। আজ মঙ্গলবার দুপুর থেকে তিনি শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্বজনেরা। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর চিকিৎসকেরা ওই ব্যক্তিকে করোনা সন্দেহে আইসোলেশনে ভর্তি রাখেন।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মুনির আহমেদ খান বলেন, ওই ব্যক্তি শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে আসেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না। যেহেতু শ্বাসকষ্ট রয়েছে ও তিনি নড়িয়া উপজেলার বাসিন্দা, তাই করোনা থাকতে পারে এমন ধারণা করে তাঁকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। বিষয়টি আইইডিসিআরকে জানানো হয়েছিল। তারা ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল। চিকিৎসা দেওয়া অবস্থায় তিনি মারা যান। এখন তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হবে।

শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন আবদুল্লাহ আল মুরাদ প্রথম আলোকে বলেন, ওই যুবকের মরদেহ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দাফন করা হবে। তার পরিবার যে জায়গায় দাফন করতে আগ্রহী সেখানেই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরা লাশ দাফন করে আসবেন। আইইডিসিআর থেকে ফলাফল পেতে দুই দিন সময় লাগতে পারে। এ কারণে অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে লাশ দাফন করবে।