রোহিঙ্গা শিবিরে আগুনে পুড়ল ১৭ ঘর

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় একটি রোহিঙ্গা শিবিরে আগুনে পুড়েছে শিক্ষা সেন্টারসহ ১৭টি ঘর। এ সময় আরও ১০টি বসতঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার বেলা দুইটার দিকে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের পুটিবনিয়া রোহিঙ্গা শিবিরে এ ঘটনা ঘটে। গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ ঘটনায় এক শিশুসহ চারজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন মং চা থাইং, মাছু চাকমা, লালা মং ও বাছু মং। তাঁরা সবাই স্থানীয় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সদস্য। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী ও রোহিঙ্গা দলনেতা মোহাম্মদ রফিক।

টেকনাফ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মুকুল কুমার নাথ প্রথম আলোকে বলেন, গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগুনে রোহিঙ্গাদের শিক্ষা সেন্টারসহ ১৭টি ঘর পুড়ে গেছে। এ সময় আরও ১০টি বসতঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। আগুন নেভাতে গিয়ে এক শিশুসহ চারজন আহত হয়েছেন।

ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় চাকমা জনগোষ্ঠীকে তাঁর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এক হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে টিন ও ছয় হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্তদের অন্যত্র থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। পুড়ে যাওয়া ঘরগুলো পুনরায় নির্মাণ করে দেওয়া হবে।’