জাপানের ৩২৭ নাগরিক বাংলাদেশ ছেড়ে গেছেন

কোভিড-১৯ নামে পরিচিত করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় জাপানের ৩২৭ জন নাগরিক আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা ছেড়ে গেছেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ভাড়া করা ফ্লাইটটি এদিন সকাল ১০টার পর টোকিওর নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা ছেড়ে যাওয়া জাপানের নাগরিকদের অধিকাংশই মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র, মেট্রোরেলসহ দেশটির আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত।
যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া ও ভুটানের পর এবার বাংলাদেশে অবস্থানরত জাপানের নাগরিকদের একটি অংশ ঢাকা ছেড়ে গেল।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরতে আগ্রহী কয়েক শ মার্কিন নাগরিকের জন্য পরের উড়োজাহাজটি প্রস্তুতির কাজ শেষ করছে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত যেসব দেশের নাগরিকেরা বাংলাদেশ ছেড়ে গেছেন সে দেশগুলো ছাড়াও ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ এবং শ্রীলঙ্কা তাদের নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সরকারের সঙ্গে কথা বলেছে। এ ক্ষেত্রে বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি ও কারিগরি সহায়তার বিষয়ে সরকার কোনো দেশের অনুরোধই প্রত্যাখ্যান করেনি। বাংলাদেশ সরকার সব দেশকেই জানিয়েছে, বাংলাদেশ বিমানের উড়োজাহাজগুলো চলাচল করছে না। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিমানের উড়োজাহাজ দেশগুলো ভাড়া করতে পারে। অন্যথায় যে দেশের উড়োজাহাজ বাংলাদেশে যাত্রী নিতে আসবে, সেটিকে খালি আসতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ফ্লাইটের প্রস্তুতি
গত সোমবার ২৬৯ জন মার্কিন নাগরিককে বাংলাদেশ থেকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার পর এবার দ্বিতীয় ফ্লাইটের প্রস্তুতি শেষ করতে যাচ্ছে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস। আরও শ দুয়েক মার্কিন নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যেতে আগ্রহ দেখানোয় এখন দ্বিতীয় ফ্লাইটে তাঁদের পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আজকালের মধ্যে তালিকা চূড়ান্ত করে ভ্রমণের তারিখ ঘোষণা করতে পারে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস।

আগে যাঁরা গেছেন
গত ৩০ মার্চ কাতার এয়ারওয়েজের একটি ভাড়া করা উড়োজাহাজে ঢাকা ছাড়েন যুক্তরাষ্ট্রের ২৬৯ নাগরিক। এর আগে ২৪ মার্চ মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে সে দেশের ২৩০ জন এবং ২৫ মার্চ ড্রুক এয়ারের দুটি ফ্লাইটে ভুটানের ১২৪ নাগরিক বাংলাদেশ ছেড়ে যান।
গতকাল রাতে কূটনীতিক সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের আরও বেশ কিছু নাগরিক বাংলাদেশ ছাড়ার আগ্রহ দেখিয়ে মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তবে ফ্লাইট শিডিউল নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁদের দেশে পাঠানো হবে।