বাঞ্ছারামপুরে সরকারি কর্মকর্তা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে পাঠানো সরকারি কর্মকর্তার শরীরের নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাসের কোনো অস্তিত্ব পায়নি ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। নমুনা পরীক্ষায় ফল নেগেটিভ এসেছে। আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় আইইডিসিআর ই–মেইলের মাধ্যমে বিষয়টি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন মোহাম্মদ একরাম উল্লাহকে জানিয়েছে।

সিভিল সার্জন মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রথম আলোকে বলেন, সকাল ১০টায় আইইডিসিআর একটি মেইল পাঠিয়েছে। নমুনা পরীক্ষায় ওই কর্মকর্তার মধ্যে করোনাভাইরাসের কোনো অস্তিত্ব পায়নি আইইডিসিআর কর্তৃপক্ষ। তাঁর করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষায় ফল নেগেটিভ এসেছে। ওই সরকারি কর্মকর্তাকে আইসোলেশনে রেখে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। এখন তিনি হয়তো বাঞ্ছারামপুরে চলে আসবেন।

সরকারি ওই কর্মকর্তা বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বাসিন্দা। তিনি আখাউড়া উপজেলায় কর্মরত ছিলেন। গত বুধবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্সে করে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) পরিয়ে তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়। আগের দিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ওই কর্মকর্তার বাড়িতে লাল পতাকা টাঙানো হয়।

উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বিভাগ সূত্র জানায়, গত ২১ মার্চ আখাউড়া উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে ওই কর্মকর্তা আরও দুজনকে সঙ্গে নিয়ে বাজার ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণে গিয়েছিলেন। বাজার থেকে ফেরার পর তিনিসহ দুজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের দুজনকে আখাউড়ার বাসায় হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর মধ্যে একজন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার কথা বলে ঢাকায় চলে যান। আর ওই কর্মকর্তা ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিন শেষ না করেই ২৭ মার্চ আখাউড়া থেকে মোটরসাইকেলে করে বাঞ্ছারামপুরে নিজের বাড়িতে চলে যান। ২৮ মার্চ থেকে তিনি জ্বরে আক্রান্ত হন। সঙ্গে কাশিও হয়। বিষয়টি তিনি আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানান। মঙ্গলবার বিকেলে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল মামুন ওই কর্মকর্তার বাড়িতে যান। তাঁকে ও তাঁর বাবাকে পুনরায় হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেন। উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে গ্রাম পুলিশ তাঁর বাড়ির উঠানে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেয়।

ওই কর্মকর্তার বড় ভাই বলেন, আখাউড়ায় মেসে খাওয়ার সমস্যার কারণে তাঁর ভাই বাড়িতে চলে আসেন। তাঁর দাবি, তাঁর ভাই সুস্থ আছেন।

বাঞ্ছারামপুরের ইউএনও নাছির উদ্দিন সরোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই কর্মকর্তা, অ্যাম্বুলেন্সের চালক ও একজন স্বাস্থ্যকর্মীকে পিপিই পরিয়ে ঢাকার আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। আখাউড়ায় তাঁকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছিল বলে শুনেছি। কিন্তু তিনি তা না মেনে সেখান থেকে বাঞ্ছারামপুরে বাড়িতে চলে আসেন।’