রাজশাহীতে আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি কিশোর সুস্থ

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে রাজশাহীতে সংক্রামক ব্যাধি (আইডি) হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি এক কিশোর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন আসার পর আজ শুক্রবার তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

গত রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওই কিশোরকে আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সে তিন দিনের জ্বর ও শুকনো কাশিতে ভুগছিল। গত বুধবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগে স্থাপিত ল্যাবে ওই কিশোরের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

করোনাভাইরাসের লক্ষণ আছে—এমন রোগীদের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধীনে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিট খোলা হয়। করোনাভাইরাস শনাক্ত এবং এই ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে, এমন রোগীদের চিকিৎসার জন্য মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আজিজুল হক আজাদকে আহ্বায়ক করে ১৫ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করেছে।

ওই কমিটির আহ্বায়ক আজিজুল হক আজাদ বলেন, ওই কিশোরের উচ্চমাত্রার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট ছিল। মাঝখানে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। তখন তার বুকের এক্স-রে করা হয়। দেখা যায়, তার অবস্থা স্বাভাবিক। আতঙ্কে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাচ্ছিল। তাকে ঘুমের ওষুধ দেওয়া হয়। সে ঘুমের মধ্যে স্বাভাবিক ছিল। এতে চিকিৎসকেরা নিশ্চিত হন, কিশোরটির অবস্থা স্বাভাবিক। এরপর সে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠে। গতকাল বৃহস্পতিবারই তাকে ছুটি দেওয়া যেত। চিকিৎসকেরা তার নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। প্রতিবেদন পাওয়ার পর আজ সকালে তাকে ছাড়া হয়েছে।

ওই কিশোরের নমুনা পরীক্ষায় কী পাওয়া গেছে—জানতে চাইলে আজিজুল হক আজাদ বলেন, এ ব্যাপারে তাঁরা কিছু বলবেন না। তিনি আরও বলেন, ওই হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ওই কিশোর একমাত্র রোগী হিসেবে চিকিৎসাধীন ছিল। হাসপাতালে আরও ছয়জন তাঁদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। তাঁদের কারও মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ দেখা যায়নি।