কর্মহীনদের সহায়তায় 'ফুডব্যাংক' স্থাপন

ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু রায়হান দোলন নিজ কার্যালয়ে ফুড ব্যাংকের জন্য সহায়তা গ্রহণ করেন। গাইবান্ধা, ০২ এপ্রিল। ছবি: সংগৃহীত
ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু রায়হান দোলন নিজ কার্যালয়ে ফুড ব্যাংকের জন্য সহায়তা গ্রহণ করেন। গাইবান্ধা, ০২ এপ্রিল। ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন মানুষের জন্য গাইবান্ধার ফুলছড়িতে ‘ফুডব্যাংক’ (খাদ্যভান্ডার) স্থাপন করা হয়েছে। প্রশাসনিক কাজের পাশাপাশি ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগ নিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু রায়হান। তিনি নিজের কার্যালয়ে স্থাপন করেছেন খাদ্যসামগ্রী সংগ্রহের ভান্ডার। নাম দিয়েছেন ফুডব্যাংক। এসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণের জন্য কাজ করছেন ১৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক।

সরকারের নির্দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মাঠে নেমেছে প্রশাসন। প্রশাসনিক কাজের বাইরে ব্যক্তি উদ্যোগে ফুডব্যাংক স্থাপন করেছেন ইউএনও আবু রায়হান। গত ৩০ মার্চ থেকে তিনি কাজ শুরু করেন। এই ফুডব্যাংকে গত বুধবার বিকেল পর্যন্ত ৭০ হাজার টাকা, ৭০০ কেজি চাল, ৬০০ কেজি আলু, ৩০০ কেজি লবণ ও শিশুখাদ্য হিসেবে ৪০ কেজি সুজি সংগ্রহ হয়েছে। এসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণের জন্য ফেসবুকের মাধ্যমে ১৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক সংগ্রহ করা হয়েছে। তাঁদের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে তালিকা করে কর্মহীন মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হবে।

>প্রশাসনিক কাজের পাশাপাশি ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগ নিয়েছেন ইউএনও আবু রায়হান। তিনি নিজের কার্যালয়ে স্থাপন করেছেন খাদ্যসামগ্রী সংগ্রহের ভান্ডার।
ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু রায়হান দোলন কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন বাড়িতে শিশুখাদ্য বিতরণ করেন। গাইবান্ধা, ০১ এপ্রিল। ছবি: সংগৃহীত
ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু রায়হান দোলন কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন বাড়িতে শিশুখাদ্য বিতরণ করেন। গাইবান্ধা, ০১ এপ্রিল। ছবি: সংগৃহীত

ফুডব্যাংক স্থাপনের বিষয়ে ইউএনও আবু রায়হান বলেন, ‘উপজেলার মোট জনসংখ্যার একটা বড় অংশ অকৃষি পেশায় নিয়োজিত। যাঁদের মধ্যে রিকশা-ভ্যানচালক, রেস্তোরাঁ ও নৌকাশ্রমিক এবং দিনমজুর বেশি। এ সময়ে তাঁরা বেকার হয়ে পড়েছেন। তাঁদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য ফুডব্যাংক সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছি, যাতে সরকারি সহায়তার পাশাপাশি এলাকার জনদরদি ও বিত্তবান মানুষজন সহায়তা করতে পারেন। এ পর্যন্ত সর্বস্তরের জনগণের মধ্য থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।’

ইউএনও আরও বলেন, সমাজের অবস্থাপন্ন মানুষের কাছ থেকে সহায়তা নিয়ে এই ব্যাংকে জমা রাখা হবে। সামর্থ্য অনুযায়ী সাহায্য দিতে ফেসবুকের মাধ্যমে আহ্বান জানানো হয়। সমাজের বিত্তবান বা দানশীল যে কেউ যেকোনো বস্তুগত সহযোগিতা করতে পারবেন। সেটা হতে পারে চাল, আলু, ভোজ্যতেল, ডাল, লবণ, পেঁয়াজ, শিশুখাদ্য প্রভৃতি। পরে এই খাদ্যসামগ্রী স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে। এর মধ্যে কিছু শিশুখাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।