কারখানা বন্ধ দিয়ে ১৮৯ শ্রমিককে অব্যাহতি

কারখানার ফটকে অব্যাহতি পাওয়া শ্রমিকদের নামের তালিকা সাঁটিয়ে দেওয়া হয়। ছবি: প্রথম আলো
কারখানার ফটকে অব্যাহতি পাওয়া শ্রমিকদের নামের তালিকা সাঁটিয়ে দেওয়া হয়। ছবি: প্রথম আলো

ঢাকার আশুলিয়ায় ফ্যাশনস ফোরাম নামের একটি পোশাক কারখানার দেড় শতাধিক অস্থায়ী শ্রমিককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কারখানা ১৪ দিনের জন্য বন্ধ হয়ে যাওয়ার দিনই তাঁদের নামের তালিকা প্রতিষ্ঠানের মূল ফটকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ ভুক্তভোগী শ্রমিকেরা বলছেন, কারখানা বন্ধের সময় তাঁদের এ ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি।

শ্রমিকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শ্রমিকদের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গত বুধবার থেকে ১৪ দিনের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বন্ধ হওয়ার দিনই এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কারখানার ১৮৯ জন অস্থায়ী শ্রমিকের চাকরি স্থায়ী না করে অব্যাহতির ঘোষণা দেওয়া হয়। এসব শ্রমিকের নামের তালিকা কারখানার মূল ফটকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। তাঁরা বিষয়টি আজ শুক্রবার জানতে পারেন। নোটিশে ১৫ এপ্রিল তাঁদের বেতনসহ যাবতীয় পাওনা পরিশোধের কথা বলা হয়। প্রতিষ্ঠানটির এমন সিদ্ধান্তে ছুটিতে থাকা কর্মহীন শ্রমিকেরা বেকায়দায় পড়েছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁদের পক্ষে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি পাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়বে।

অব্যাহতির তালিকায় নাম থাকা কয়েকজন শ্রমিকের ভাষ্য, কারখানা বন্ধ দেওয়ার সময় তাঁদের কিছু বলা হয়নি। খবর পেয়ে গতকাল কারখানার সামনে গিয়ে তাঁরা অব্যাহতির নোটিশ দেখতে পান। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের আশঙ্কায় ঘর থেকে বের হওয়া যায় না, সব কলকারখানা বন্ধ রয়েছে। এই অবস্থায় কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের অব্যাহতি দিয়ে বিপদে মধ্যে ফেলে দিল। যে টাকা বেতন পাওয়া যাবে, তা ঘরভাড়া আর দোকানের বকেয়া পরিশোধ করতেই শেষ হয়ে যাবে।

শ্রমিকদের অব্যাহতির সিদ্ধান্তের বিষয়ে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, তাঁরা এ বিষয়ে অবগত আছেন। এই সংকটের সময়ে শ্রমিকদের যাতে অব্যাহতি না দেওয়া হয়, মালিকপক্ষকে তা বোঝানোর চেষ্টা করা হবে।

এদিকে শ্রমিকদের অব্যাহতি দেওয়ায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক খাইরুল মামুন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শ্রমিকদের অব্যাহতির নোটিশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।