করোনা শনাক্তের ঘটনায় সাতকানিয়ার ১২ পরিবার লকডাউনে

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় চার বাড়ির ১২টি পরিবারকে লকডাউনে থাকতে বলেছে প্রশাসন। চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পর গতকাল শুক্রবার ‌‌‌রাতে প্রশাসন এ ঘোষণা দেয়। 

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গতকাল চট্টগ্রামে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হন। ওই ব্যক্তির মেয়ে ও শাশুড়ি ১২ মার্চ সৌদি আরব থেকে ওমরা হজ শেষে দেশে ফিরে আসেন। এরপর মেয়ে চট্টগ্রাম নগরে বাবার বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। আর শাশুড়ি সাতকানিয়ায় গ্রামের বাড়িতে চলে যান। কয়েক দিন আগে ওই ব্যক্তি অসুস্থ বোধ করলে তাঁকে চট্টগ্রামের জেলারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর পরীক্ষায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।

এ দিকে শাশুড়ি গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসার পর স্বজনেরা তাঁকে দেখতে আসেন। এতে স্বজনসহ ওই এলাকায় ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা আছে। তাই গতকাল রাত ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত সাতকানিয়ায় ওই নারীর বাড়ি পরিদর্শন করে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় ও পুলিশ প্রশাসনের লোকজন। পরে লকডাউন করার সিদ্ধান্ত হয়।

সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আবদুল মজিদ ওসমানী প্রথম আলোকে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ওমরাফেরত স্বজনদের মাধ্যমেই ওই ব্যক্তির করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। তাই করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া ব্যক্তির চট্টগ্রাম নগরের বাসার পাশাপাশি শাশুড়ির সাতকানিয়ার বাড়ির আশপাশও লকডাউন করা হয়েছে।

সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নুর-এ-আলম প্রথম আলোকে এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এসব পরিবারের সবাইকে বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে। ওই এলাকায় যাতে বাইরের কেউ না যেতে পারেন, সে জন্য বিশেষ সতর্কতার চিহ্ন হিসেবে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে।