মারা যাওয়া ব্যক্তিসহ ছয়জনের কেউ করোনায় আক্রান্ত নন

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিটে মারা যাওয়া ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া একই ইউনিটে থাকা আরও পাঁচজনের নমুনা পরীক্ষা করে তাঁদের শরীরেও করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মেলেনি। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) এসব নমুনা পরীক্ষার পর আজ শনিবার দুপুরে তাঁরা করোনায় আক্রান্ত হননি বলে প্রতিবেদন দেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. বাকির হোসেন আজ শনিবার বেলা দুইটায় প্রথম আলোকে বলেন, মৃত ব্যক্তিসহ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে থাকা ছয় ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। আজ দুপুরে সেখান থেকে ফল নেগেটিভ হওয়ার প্রতিবেদন তাঁদের হাতে পৌঁছায়। প্রতিবেদন অনুযায়ী ছয়জনের কেউই করোনায় আক্রান্ত নন।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত ২৮ মার্চ গভীর রাতে ও ২৯ মার্চ সকালে সাড়ে ৭ ঘণ্টার ব্যবধানে করোনা ইউনিটে এক নারী ও এক পুরুষের মৃত্যু হয়। তাঁদের মধ্য ২৮ মার্চ রাত ১২টার দিকে শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে আসা বরিশাল নগরের পুরানপাড়া এলাকার ওই নারীকে করোনা সন্দেহে জরুরি বিভাগ থেকে করোনা ইউনিটে পাঠানো হয়। ওই ইউনিটে নেওয়ার কিছুক্ষণ পরই তিনি মারা যান। পরে দ্রুত তাঁর পরিবারের সদস্যরা লাশ নিয়ে দাফন করেন। ২৯ মার্চ সকাল সাড়ে সাতটায় শ্বাসকষ্ট, কাশি ও জ্বর নিয়ে করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন পটুয়াখলী সদর উপজেলার আরেক ব্যক্তি মারা যান। পরে ওই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠান চিকিৎসকেরা।

হাসপাতালের পরিচালক বাকির হোসেন বলেন, করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে মারা যাওয়া এই নারী মূলত উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদ্‌রোগে ভুগছিলেন। ভুল করে তাঁকে চিকিৎসকেরা করোনা সন্দেহে ওই ইউনিটে পাঠিয়েছিলেন। আসলে তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, শনিবার যে ছয়জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, তাঁদের একজন মারা গেছেন। বাকি দুজন চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন। শনিবার প্রতিবেদন পাওয়ার পর আরও তিনজনকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে নতুন করে এই হাসপাতালের করোনা ইউনিটে দুই ব্যক্তি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন।