ফখরুলের বক্তব্য কাণ্ডজ্ঞানহীন: কাদের

ওবায়দুল কাদের। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
ওবায়দুল কাদের। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

করোনাভাইরাসের ক্ষতি পোষাতে আজ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তাকে ‘দায়িত্ব ও কাণ্ডজ্ঞানহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘সারা বিশ্বে সব মানুষ যখন একযোগে এই সংকট মোকাবিলায় এক প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়েছে, তখন অর্বাচীনের মতো মির্জা ফখরুলের বক্তব্য জাতিকে বিভ্রান্ত করে।’

আজ শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

আজ সকালেই করোনাজনিত দুর্যোগ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সহায়তায় ৮৭ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠনে সরকারের কাছে প্রস্তাব করে বিএনপি। একই সঙ্গে অবিলম্বে দেশের বরেণ্য অর্থনীতিবিদদের সমন্বয়ে একটি আপত্কালীন অর্থনৈতিক টাস্কফোর্স গঠনেরও দাবি করে দলটি। 

কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা যখন সাধারণ জনগণের পাশে থেকে তাদের আশ্বস্ত করে যাচ্ছে, তখই মির্জা ফখরুলরা ভুল তথ্য উপস্থাপন করে জাতিকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। দুর্যোগের এই মুহূর্তে বিভেদ নয়—এটা তাঁদের বোধগম্য নয়।

আজ ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে তাঁর ভাষণে বিশাল জনগোষ্ঠীকে বাঁচিয়ে রাখার কোনো পরিকল্পনা বা এ জন্য বরাদ্দের কথা বলেননি।

আজ কাদের বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার শুরু থেকেই একটি গাইডলাইন প্রস্তুত করে রেখেছে এবং ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতন ও দায়িত্বশীল জনগণকে প্রধান নিয়ামক ধরে সম্মিলিত প্রয়াস গড়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা গত ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণে সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি ও কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেছেন। এর বাইরে সামাজিক সুরক্ষার পাশাপাশি অপ্রত্যাশিত ব্যয় বরাদ্দসহ দীর্ঘমেয়াদি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে রেখেছেন। মির্জা ফখরুলরা যদি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নেওয়া এসব কর্মসূচিকে ভিত্তি ধরে কোনো প্রস্তাব দিতেন, সেটা জাতির জন্য আশাব্যঞ্জক হতো।’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বের নেতারা করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে দোষারোপের রাজনীতি পরিহার করার সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেখানে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও তাঁদের দল এই সংকটকে ঘনীভূত করে, জনমনে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে জনগণের ঐক্যের দুর্গকে নস্যাত করতে চায়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল যে প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন, তা আমাদের অর্থনীতির ঊর্ধ্বগামী সম্ভাবনার বিপরীত। এ ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য জনগণকে শুধু হতাশই করতে পারে। এডিবির (এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক) এক অর্থনীতিবিদ যেখানে বলেছেন, এই সংকটের মধ্যেও এশিয়ায় বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ হবে, সেখানে অর্থনীতির এই সম্ভাবনাকে নাকচ করে দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার এই প্রস্তাব সংকটকে আরও ঘনীভূত করবে।