আকস্মিক ঝড়ে বিধ্বস্ত বসতঘর ও দোকানপাট

আকস্মিক ঝড়ে লন্ডভন্ড বসতঘর ঠিক করার চেষ্টায় এক ব্যক্তি। নলী গ্রাম, সদর উপজেলা, বরগুনা, ৪ এপ্রিল। ছবি: প্রথম আলো
আকস্মিক ঝড়ে লন্ডভন্ড বসতঘর ঠিক করার চেষ্টায় এক ব্যক্তি। নলী গ্রাম, সদর উপজেলা, বরগুনা, ৪ এপ্রিল। ছবি: প্রথম আলো

এমনিতেই করোনার প্রকোপ চলছে। খাদ্যসংকটে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। এর ওপর আকস্মিক ঝড়ের কবলে পড়তে হলো বরগুনা জেলার কয়েক শ মানুষকে। আজ শনিবার বিকেলে ঝড়ের তাণ্ডবে তাদের বসতঘর ও দোকানপাট বিধ্বস্ত হয়েছে।

আজ বিকেলে আকস্মিক ঝড়ে বরগুনা সদর উপজেলায় ৩টি ইউনিয়নে ১৮০টি বসতঘর বিধ্বস্ত হয়। এ ছাড়া তালতলী উপজেলায় মাদ্রাসা, মন্দিরসহ লন্ডভন্ড হয়েছে ২৫০টি বসতঘর।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নে ১০০ বসতঘর ও দোকানপাট বিধ্বস্ত হয়েছে। নলটোনা ইউনিয়নের ৫৪টি ও ঢলুয়া ইউনিয়নের ২৫টি বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়নগুলোর চেয়ারম্যানরা প্রাথমিকভাবে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

এম বালিয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহনেয়াজ সেলিম জানান, ঝড়ে ইউনিয়নটির বিভিন্ন গ্রামের শতাধিক বসতঘর ও দোকানপাট বিধ্বস্ত হয়। এ ছাড়া আরও অনেক বসতঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

ঢলুয়া ইউনিয়নের নলী গ্রামের বাসিন্দা সিদ্দিকুর রহমানের বসতঘর ঝড়ে উড়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘এখন খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে হবে। এমনিতে কাজ বন্ধ, কীভাবে ঘর তুলব, তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেলাম।’

তালতলী উপজেলায় উপড়ে পড়েছে কয়েক হাজার গাছপালা। কড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নের কড়াইবাড়িয়া বাজারে বাবলা মার্কেট, বেহালা গ্রামে সর্বজনীন শ্রীশ্রী দুর্গামন্দির, কড়ইবাড়িয়া দাখিল মাদ্রাসা ও ছোটবগী গাবতলী দাখিল মাদ্রাসা ভেঙে গেছে। ভেঙে পড়েছে ৫০টি বৈদ্যুতিক খুঁটি।

বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা আক্তার বলেন, উপজেলার কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা করার জন্য মাঠে আছেন। কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।