৩৩৩ নম্বরে ফোন, খাবার নিয়ে হাজির ইউএনও

নওগাঁ
নওগাঁ

নওগাঁ সদর উপজেলার গোপাল চন্দ্র সাহা একজন চা বিক্রেতা। চায়ের দোকানের আয় দিয়ে মা, স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ পাঁচজনের সংসার চলে। কিন্তু করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে চলাচল সীমিত করে দিলে সংসারের আয়ের একমাত্র অবলম্বন চায়ের দোকানটিও বন্ধ হয়ে যায়। খেয়ে–না খেয়ে কষ্টে দিন কাটছিল তাদের।

এর মধ্যে গোপালের স্ত্রী নমিতা প্রতিবেশী একজনের কাছে শুনতে পান, ৩৩৩ নম্বরে কল করলে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে সরকার। গতকাল শনিবার রাতে ৩৩৩ নম্বরে কল করেন তিনি। সেখান থেকে কল আসে নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুনের কাছে। ইউএনও নমিতার নম্বরে কল করে সব জেনে রাতেই খাদ্য সহায়তা তাঁর বাড়িতে হাজির হন। খাদ্য সহায়তা হিসেবে নমিতার পরিবার পায় ১০ কেজি চাল, পাঁচ কেজি আলু, দুই লিটার তেল, ১ কেজি ডাল ও এক কেজি পেঁয়াজ।

খাদ্য সহায়তা পেয়ে খুশি গৃহবধূ নমিতা সাহা। তিনি বলেন, 'অ্যাত তাড়াতাড়ি ত্রাণ পাওয়া য্যাবে হামরা ভাবতেই পারিনি। কল দ্যাওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যেই চাল-ডাল নিয়ে ছার হাজির। এই ত্রাণ দিয়ে তাও পরিবারের ১০-১৫ দিনের খাবারের যোগান হবে।'

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, 'হটলাইন থেকে ভুক্তভোগীর মোবাইল নম্বর নিয়ে কল করলে ওই গৃহবধূ বলেন যে তাঁর স্বামীর চায়ের দোকানটি বন্ধ। আয় না থাকায় খাবারের কষ্টে আছেন তাঁরা। রাতেই কিছু খাদ্যসামগ্রী তাঁর বাসায় দিয়ে আসি।' তিনি এই দুঃসময়ে কেউ যাতে কষ্টে না থাকেন, এ ব্যাপারে প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য সমাজের সবার প্রতি আহ্বান জানান। মানুষ কষ্টে আছে জানলে সঙ্গে সঙ্গে সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।