পূর্বধলায় জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে নারীর মৃত্যু, আটটি বাড়ি লকডাউন

নেত্রকোনার পূর্বধলার হুগলা কালীহর জোয়ারদারপাড়া এলাকায় জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্ট ও পাতলা পায়খানা নিয়ে এক নারী (৫০) মারা গেছেন। আজ রোববার ভোরে তিনি নিজ বাড়িতে মারা যান।

এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে করোনাভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় ওই বাড়িসহ আশপাশের অন্তত আটটি বাড়ি লকডাউন করে দেয় প্রশাসন। ওই নারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কি না পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রশাসন সূত্র জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার থেকে হঠাৎ করে হালকা জ্বর ও কাশি সমস্যায় ভুগছিলেন ওই নারী। শনিবার সকাল থেকে তাঁর শ্বাসকষ্টসহ পাতলা পায়খানা শুরু হয়। পরিবারের লোকজন চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁকে স্যালাইন ও প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ দেন। রোববার ভোর পৌনে পাঁচটায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে করোনাভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে হুগলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম জানান, ওই নারী নিঃসন্তান ছিলেন। তাঁর স্বামী ও একটি পালিত কন্যাসহ বাড়িতেই বসবাস করতেন। গত এক সপ্তাহ আগে তাঁদের পালিত কন্যার জ্বর-সর্দি হয়। কিছুদিন পর মেয়েটি সুস্থ হয়।

পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ওই নারীর মৃত্যুতে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করায় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের নির্দেশে আটটি বাড়ি লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম দুপুর দেড়টায় মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ওই নারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কিনা জানতে কিছুক্ষণ আগে চিকিৎসকেরা তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যান। সেই নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইসিডিআর) পাঠানো হবে। নমুনা পরীক্ষার ফল সোমবার হয়তো জানা যাবে। এর আগ পর্যন্ত ওই বাড়িসহ আশপাশের আটটি বাড়ি লকডাউন থাকবে। তিনি আরও জানান, উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুরক্ষা পোশাক পড়ে ওই নারীর মরদেহ দাফনের প্রস্তুতি চলছে।