নিয়মের তোয়াক্কা নেই লোহাগড়ার ব্যাংকগুলোতে

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার সরকারি নির্দেশ থাকলেও নড়াইলের লোহাগড়ার ব্যাংকগুলোতে তা মানা হচ্ছে না। ছবি: প্রথম আলো
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার সরকারি নির্দেশ থাকলেও নড়াইলের লোহাগড়ার ব্যাংকগুলোতে তা মানা হচ্ছে না। ছবি: প্রথম আলো

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার সরকারি নির্দেশ থাকলেও নড়াইলের লোহাগড়ায় ব্যাংকগুলোতে এর বালাই নেই। ব্যাংকগুলোতে অনেক ভিড়। অনেকেই মাস্ক পরে আসেননি। ফলে বাড়ছে বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা।

আজ রোববার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপজেলা সদরের সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, ইসলামী ও ফার্স্ট সিকিউরিট ইসলামী ব্যাংকে গিয়ে ভিড়ের ভয়াবহ চিত্র দেখা যায়। অধিকাংশ গ্রাহক এসেছেন টাকা তোলার জন্য।
সোনালী ব্যাংক লক্ষ্মীপাশা ট্রেজারি শাখায় গিয়ে দেখা গেছে, ব্যাংকের ভেতর থেকে বাইরে পর্যন্ত লম্বা লাইন। অনেক গ্রাহক রাস্তায় অপেক্ষা করছেন। ব্যাংকে এতটুকু জায়গা নেই। গ্রাহকেরা গাদাগাদি ও ঠাসাঠাসি করে অবস্থান করছেন। যারা টাকা তুলতে এসেছেন তাদের বেশির ভাগই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।

এই শাখার ব্যবস্থাপক মো. মিজানুর রহমান বলেন, উপজেলার মধ্যে এই শাখায় সবচেয়ে বেশি ভিড়। আজকেই বেশি ভিড় দেখা যাচ্ছে। কারণ এ শাখায় বেতন, পেনশন, বিভিন্ন ভাতা ও সরকারি বরাদ্দের টাকা লেনদেন হয়। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত গ্রাহকেরা বর্তমানে টাকা লেনদেন করতে পারছেন। আগে লেনদেনের সময় ছিল সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। লেনদেনের সময় কম হওয়ায় গ্রাহকেরা সকালেই সবাই একযোগে চলে আসছেন। তাই শুরুতেই ভিড় বেড়ে যাচ্ছে। লেনদেনের সময় বেশি থাকলে এ ভিড় এড়ানো যেত।

বেতন তুলতে আসা কয়েকজন চাকরিজীবী বলেন, মাসের শুরু, তাই টাকা দরকার। আগামীতে কী হয়, তা বলা যাচ্ছে না। তাই বেতনটুকু ঘরে তুলে নিতে এসেছেন।

জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপক বলদেব বিশ্বাস, ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক শেখ মাহমুদুর রহমান ও ফার্স্ট সিকিউরিট ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আবুল কাসেমের ভাষ্য, দুই দিন ছুটি ছিল। তাই আজই বেশি ভিড় দেখা যাচ্ছে। ব্যাংকের লেনদেনের সময় কম হওয়ায় এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে আতঙ্ক থেকে ভিড় বেড়েছে।