পুলিশের তাড়া খেয়ে রাস্তা ফাঁকা

নীলফামারীর সৈয়দপুরের মানুষ কিছুতেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আদেশ মানছিল না। স্বাভাবিক সময়ের মতোই বাইরে ঘোরাঘুরি চলছিল তাদের। অবশেষে গতকাল শনিবার রাতে পুলিশ রাস্তায় নামল। পুলিশের তাড়া খেয়ে বাড়ি ঢুকল সবাই। ফাঁকা হলো সড়ক।

সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাসিম আহমেদ বলেন, সারা বিশ্বে করোনাভাইরাসে সংক্রমনের ঝুঁকি বাড়ছে । প্রতিদিন মৃত্যুর মিছিল বড় হচ্ছে। সরকার সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে। সরকারের নির্দেশনা মেনে সচেতনতা বাড়াতে কাজ চলছে। অথচ কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না গণজটলা। শহরের রাস্তায় রাস্তায় ভিড় বেড়ে যাচ্ছিল। বাধ্য হয়ে পুলিশকে কঠোর হতে বলা হয়েছে। এতে কাজ হয়েছে। রাস্তা–ঘাট এখন অনেকটাই ফাঁকা।

আজ রোববার সকালে দেখা যায়, শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কে সৈয়দপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পরিমল কুমার সরকার অভিযানে নেমেছেন। শহরে অযথা চলাফেরার দায়ে আটজনকে জরিমানা করেন তিনি।

সৈয়দপুর বণিক সমিতির সভাপতি মো. ইদ্রিস আলী বলেন, 'আমরা ব্যবসায়ীদের বলেছি—মহামারী আকারে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। আপনাদের সহযোগিতা চাই। দোকানপাট বন্ধ রাখুন। কিন্তু কিছুতেই কাজ হচ্ছিল না। প্রশাসনের কঠোর অবস্থান চাই।'

সৈয়দপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পালের সঙ্গে কথা হয় শহরের পাঁচমাথা মোড়ে। তিনি বলেন, যেকোনো মূল্যে মানুষকে ঘরমুখী হতে হবে। মনে রাখতে হবে করোনাভাইরাস সংস্পর্শে ছড়ায়। কাজেই প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়া যাবে না। যদি কেউ সরকারি নির্দেশনা অমান্য করেন, তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর হবে পুলিশ।

পুলিশি তৎপরতার এখন ফাঁকা হয়ে গেছে শহরের রাস্তাঘাট। এ অবস্থা ধরে রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র মো. আমজাদ হোসেন সরকার। তিনি বলেন, 'সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার পাশাপাশি শহর পরিচ্ছন্নতার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি আমরা। প্রতিদিন শহরের ১৫টি ওয়ার্ডে জীবাণুনাশক ছিটানো হচ্ছে। আশা করছি করোনাকে আমরা রুখে দিতে পারব।'